বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রান পাহাড়, বৃষ্টির বাধা সত্ত্বেও জিতল পাকিস্তান

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২৩ ২০:২৬

তবে শেষ হাসি হেসেছেন বাবর আজমরাই। চার শতাধিক রান টপকাতে চাওয়া ম্যাচটিতে ডিএলএস মেথডে ২১ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

সেমিফাইনালের দৌড়ে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প ছিল না পাকিস্তানের। তবে জয় পাওয়ার আগে যেন পাকিস্তানকে নিয়ে মশকরা করল ভাগ্য দেবতা। প্রথমে তাদের সামনে ৪০২ রানের বিশাল লক্ষ্য দিল। পরে ব্যাটে এসে যখন দুর্দান্ত পারফরম করা শুরু করল, তখনই বৃষ্টি নামিয়ে খেলা থামাল। বৃষ্টির পর আবার রান রেট দিল বাড়িয়ে। তারপরও যখন পাকিস্তানি ব্যাটারদের থামানো গেল না, তখন আর বেশি কষ্ট না দিয়ে ম্যাচের অর্ধেক না খেলিয়েই জিতিয়ে দিল।

এমনই ঘটেছে আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচে। তবে শেষ হাসি হেসেছেন বাবর আজমরাই। চার শতাধিক রান টপকাতে চাওয়া ম্যাচটিতে ডিএলএস মেথডে ২১ রানের জয় পেয়েছে পাকিস্তান।

৪০২ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি পাকিস্তানের। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে চার রান করে ফিরে যান আব্দুল্লাহ শফিক। তবে এরপর শুরু হয় ফখর জামানের ব্যাটিং তাণ্ডব। চার-ছক্কার ফুলঝুরিতে মাত্র ৬৩ বলে নিজের সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ব্যাটার। অন্যপ্রান্তে ধীর লয়ে ব্যাট চালাচ্ছিলেন বাবর। এর মাঝে আবার বাগড়া দেয় বেরসিক বৃষ্টি।

২১.৩ ওভারে ১৬০ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় ফখর-বাবরকে। এর মাঝে সংশয় জাগে বৃষ্টির পর ব্যাটিংয়ের মোমেন্টাম নষ্ট না হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি থামলে ইনিংসের ৯ ওভার কমে যায়। সেক্ষেত্রে লক্ষ্য নামে ৩৪২-এ। সমীকরণ দাঁড়ায় ২০.৩ ওভারে আরও ১৮২ রান করতে হবে পাকিস্তানকে।

বৃষ্টির পর ব্যাটে নেমেই বোল্টের ওভারের বাকি বলগুলো দেখেশুনে সামলান ফখর। এ সময় পাকিস্তানকে চেপে ধরার ইঙ্গিত দেয় নিউজিল্যান্ড। তবে পরের ওভার থেকেই স্বরূপে ফেরেন ফখর। এবার হাত খুলে খেলা শুরু করেন বাবরও। সেইসঙ্গে নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। এটি নিয়ে পাকিস্তানি ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপে নিজের অষ্টম অর্ধশতক করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। ৯টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস নিয়ে এ তালিকায় তার উপরে এখন কেবল জাভেদ মিয়াঁদাদ।

চার ওভার পর আবার নামে বৃষ্টি। তবে ২৫.৩ ওভারে পাকিস্তান ততক্ষণে ২০০ পার করেছে। বাবর ৬৩ বলে ৬৬ এবং ফখর ৮১ বলে ১২৬ রানে অপরাজিত; মেরেছেন ১১টি ছক্কা ও ৮টি চার।

শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আর না থামলে ম্যাচ শেষ করার ঘোষণা আসে। এতে ডিএলএস মেথডে ২১ রানের জয় পায় পাকিস্তান।

এ জয়ের ফলে নিউজিল্যান্ডের সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা আরও নড়বড়ে হয়ে গেল। একইসঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। আর নিভুনিভু করে হলেও পাকিস্তানের সেমির আশা টিকে রইল।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে নিউজিল্যান্ডকে দুর্দান্ত শুরু এনে দেন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন। পাওয়ার প্লেতে তারা দুজনে মিলে যোগ করেন ৬৬ রান। তবে পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পরই উইকেট হারায় কিউইরা। পাকিস্তানকে ব্রেকথ্রু এনে দেন হাসান আলী। ডানহাতি এই পেসারের বাউন্সারে হুক করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন কনওয়ে।

বাঁহাতি এই ওপেনার ফিরিয়ে ফিরিয়ে নিজের শততম ওয়ানডে উইকেট তুলে নেন হাসান। তিনে নেমে রাচিনকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন উইলিয়ামসন। পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই দারুণ ছন্দে আছেন রাচিন। আজও তিনি পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরির দেখা। আর চোট কাটিয়ে ফিরেই সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে আউট হন উইলিয়ামসন।

হাফ সেঞ্চুরির পর সেঞ্চুরিও তুলে নেন রাচিন। নিজের প্রথম বিশ্বকাপে এটি তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। ২৫ বছর পেরোনোর আগে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন রাচিন। এই জায়গায় আজ তিনি ছাড়িয়ে গেছেন শচীন টেন্ডুলকারকে।

শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের এক আসরে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিকও বনে গেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই তরুণ। এই কীর্তি গড়তে গিয়ে তিনি পেছনে ফেলেছেন উইলিয়ামসন, মার্টিন গাপটিলদের।

২৫ বছরের আগে এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের তালিকায় শচীনের ৫২৩ রানও ছুঁয়েছেন তিনি। অভিষেক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হতে মাত্র ১১ রান দূরে এখন রাচিন। সেটি করতে পারলে জনি বেয়ারস্টোর রেকর্ড টপকে যাবেন তিনি।

রাচিন সেঞ্চুরির দিন তীরে গিয়ে তরী ডোবে উইলিয়ামসনের। ৯৫ রানে আউট হন তিনি। ইফতিখার আহমেদের বলে ডাউন দ্য উইকেটে এসে লং অফের উপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন কেইন। কিন্তু মারে জোর না থাকায় দারুণ এক ক্যাচ ‍লুফে নেন ফখর। আক্ষেপের পরও এদিন স্টিফেন ফ্লেমিংকে ছাড়িয়ে নিউজিল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক হয়েছেন তিনি।

উইলিয়ামসনের বিদায়ের পর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি রাচিন। মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রের বলে মিড উইকেটের উপর দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাউদ শাকিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ১০৮ রান করা বাঁহাতি এই ওপেনার।

এই দুই ব্যাটার ফেরার পর ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন ৩৯ রান করা চ্যাপম্যান, ৪১ রান করা ফিলিপস এবং ২৬ রান করা মিচেল সান্টনার। ফলে শেষপর্যন্ত চার শ পার করেই থামে কিউইদের ইনিংস।

পাকিস্তানের হয়ে তিন উইকেট নেন ওয়াসিম জুনিয়র। আর বিধ্বংসী ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হয়েছেন ফখর জামান।

এ বিভাগের আরো খবর