প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর পরপর চার ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে সেমিফাইনাল খেলার পথে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে সেমি নিশ্চিতে তাদের পাড়ি দিতে হবে আরও খানিকটা পথ। ফলে আজ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই টিম ক্যাঙ্গারুর।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে খেলতে নেমে টস হারে অস্ট্রেলিয়া। পরে ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আগে ব্যাট করতে নামে তারা। প্রথম ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই ২৮৬ রানে গুটিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। ফলে চলতি বিশ্বকাপে দ্বিতীয় জয় পেতে হলে এই লক্ষ্য টপকাতে হবে ইংল্যান্ডের।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন মারনাস লেবুশেন। ৮৩ বল মোকাবিলা করে ৭ চারের সাহায্যে ৭১ রান করেন তিনি। এছাড়া ক্যামেরন গ্রিন ৪৭ ও স্টিভেন স্মিথ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন ক্রিস ওকস। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন মার্ক উড ও আদিল রশিদ।
এদিন ব্যাট করতে নেমে ষষ্ঠ ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ওভারে ব্যক্তিগত ১১ রান করে ট্রেভিস হেড ও ৫.৪তম ওভারে ১৫ রান করে ডেভিড ওয়ার্নার ফিরে গেলে দলীয় ৩৮ রানে দুই উইকেট হারায় অজিরা। দুটি উইকেটই নেন ক্রিস ওকস।
এতে বেশ খানিকটা চাপে পড়ে যায় প্যাট কামিন্সের দল। তবে শুরুর সে চাপ ভালোভাবে সামাল দিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে ওঠান স্টিভেন স্মিথ ও লেবুশেন।
দলকে ৭৫ রানের জুটি উপহার দিয়ে ৪৪ রান করে স্মিথ ফিরে গেলে উইকেটরক্ষক জস ইংলিশও উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। আদিল রশিদের পরপর দুই ওভারে সাজঘরে ফেরেন স্মিথ ও ইংলিশ। ফলে আবার ব্যাকফুটে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া।
এরপর ক্যামেরন গ্রিনকে নিয়ে আরেকটি জুটি গড়েন লেবুশেন। ৬১ রানের জুটি গড়ে ৩৩তম ওভারের শেষ বলে লেগ বিফোর হয়ে ফিরতে হয় লেবুশেনকে। মার্ক উডের উইকেটের ভেতরে ঢোকা লেংথ ডেলিভারিটি কাট করতে গিয়ে ব্যর্থ হন তিনি। ফলে বল প্যাডে আঘাত করলে ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার।
এরপর ক্যামেরন গ্রিন ও মার্কাস স্টইনিস মিলে অস্ট্রেলিয়াকে লড়াকু পুঁজি এনে দিতে বড় ভূমিকা রাখেন। রানের গতি সচল রাখলেও উইকেটের পতন থামাতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ফলে ইনিংসের তিন বল বাকি থাকতেই গুটিয়ে যায় তাদের ইনিংস।