বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মানসিক স্থিরতা দৃঢ়তা উপস্থিত বুদ্ধি পাকিস্তানের বিপক্ষে ঠিক থাকতে হবে

  • চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত   
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২৩ ০৯:০৬

ধর্মশালায় আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতের কাছে হেরেছে টাইগাররা। এই চার বড় দলের কাছে হারলেও সেমিফাইনালের আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু গত ম্যাচে সহজ প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে পেয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সাকিবরা। জয়ের জন্য ২৩০ রানের লক্ষ্য পেয়ে মাত্র ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে ৮৭ রানে হেরে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় লাল-সবুজের জার্সিধারীদের। টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে হতাশার সাগরে ডুবেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও কী আবার হতাশা নাকি জয়ে ফেরার আনন্দ রেখা দেখা যাবে- এই উত্তর মিলবে মাঠের লড়াইয়েই।

টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে বিশ্বকাপে নিজেদের লক্ষ্যপথ থেকে বিচ্যুত এখন বাংলাদেশ। হাতে যে তিন ম্যাচ রয়েছে- প্রতিটিতে জয় পেলেও কোনো হিসাবেই সেমিফাইনালে খেলার অঙ্ক মেলাতে পারবে না টাইগাররা। ফলে চলতি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে খেলার যে স্বপ্ন ছিল, সেটি স্বপ্নই থেকে যাচ্ছে। সর্বশেষ নেদারল্যান্ডসের কাছে হেরে সেমিফাইনালের লড়াই থেকেই শুধু ছিটকে পড়ল না বাংলাদেশ, এটি দেশের ক্রিকেটের জন্য জোরেশোরে একটি ধাক্কাও। যে দেশ বড় ক্রিকেট দেশের মর্যাদা পাওয়ার দাবি করছে, সেই দেশের কাছে অসহায়ভাবে হারল প্রায় ২৩ বছর ধরে টেস্ট খেলুড়ে দেশ বাংলাদেশ। এটা কী সহজে মানা যায়? কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে রচিত হওয়া সেই ট্র্যাজেডি বলেন আর বাস্তবতাই বলেন- এসব পেছনে পেলে আজ একই ভেন্যুতে সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। এ ম্যাচটি যে বাংলাদেশের জন্য এক কঠিন অগ্নিপরীক্ষা হতে যাচ্ছে- সেটি আর বাড়িয়ে বলার অপেক্ষা রাখে না। অবশ্য বিশ্বকাপে দুর্দিন যাচ্ছে পাকিস্তানেরও। গত টানা চার ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেনি তারা। এ দলটিও হতাশার চাদরে মুড়িয়ে আছে। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে আজকের ম্যাচটি তাদের জন্য দারুণ একটি সুযোগ। তাদের সেমিফাইনালে খেলার আশা শেষ হয়ে যায়নি। হাতে থাকা বাকি তিন ম্যাচে যদি জয় তুলে নিতে পারে, টুর্নামেন্টে শেষ দিকের সমীকরণ মিলিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যেতে পারে পাকিস্তান। ফলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি ‘নক আউট’ ম্যাচ মনে করেই খেলবেন বাবর আজমরা। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, দুই দলে ম্যাচটিতে ভালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠতে পারে। বাংলাদেশ সময় বেলা আড়াইটায় দুদলের ম্যাচটি শুরু হবে। এই ম্যাচের চলতি ধারাবিবরণী সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ বেতার।

ধর্মশালায় আফগানিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এরপর ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারতের কাছে হেরেছে টাইগাররা। এই চার বড় দলের কাছে হারলেও সেমিফাইনালের আশা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু গত ম্যাচে সহজ প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডসকে পেয়েও ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সাকিবরা। জয়ের জন্য ২৩০ রানের লক্ষ্য পেয়ে মাত্র ১৪২ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। ফলে ৮৭ রানে হেরে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় লাল-সবুজের জার্সিধারীদের। টানা পাঁচ ম্যাচে হেরে হতাশার সাগরে ডুবেছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও কী আবার হতাশা নাকি জয়ে ফেরার আনন্দ রেখা দেখা যাবে- এই উত্তর মিলবে মাঠের লড়াইয়েই।

অন্যদিকে, নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে বিশ্বকাপে যাত্রা করে পাকিস্তানিরা। এই দুই ম্যাচ জয়ের পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হয় পাকিস্তান। কিন্তু অনেক প্রত্যাশিত আকর্ষণীয় ম্যাচটি জমিয়ে তুলতে পারেননি বাবর আজমরা। অসহায়ভাবে ভারতীয়দের কাছে হার মানে তারা। এই ম্যাচে হারের পর আর জয়ের মুখ দেখেনি পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছে তারা। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে অঘটনের শিকার হয় ইমরান খান, ওয়াসিম আকরামদের উত্তরসূরিরা। আফগানদের কাছে হেরে যাওয়ার পর মনোবল ভেঙে যায় বাবরদের। তবুও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ে ফেরার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলেন তারা। কিন্তু ম্যাচ জমিয়ে রোমাঞ্চ ছড়িয়ে শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে এক উইকেটে নাটকীয়ভাবে হেরে যায় পাকিস্তান। এই টানা চার হারে পুড়তে থাকা দলটির পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। সামনে এগোনো ছাড়া উপায় নেই। আজ বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্ব শক্তি প্রয়োগ করে পাকিস্তানিরা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় থাকবে।

পাকিস্তানের মূল শক্তির জায়গা হলো পেস বোলিং ইউনিট। শাহিন শাহ আফ্রিদি, হাসান আলী, হারিস রউফদের সমন্বয়ে গড়া পেস ইউনিট খুবই ভয়ংকর। এই পেস ইউনিটই বাংলাদেশের ব্যাটারদের জন্য বড় হুমকি হতে পারে। গত ম্যাচগুলোয় বড় স্কোর গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ব্যাটাররা ছিলেন নিষ্প্রভ। টানা হেরে যাওয়ায় তাদের আত্মবিশ্বাসও এখন একেবারে তলানিতে। সেখান থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তানি পেসারদের সামাল দেন মুশফিক-সাকিবরা- সেটিই দেখার বিষয়। অপরদিকে, বাংলাদেশের মূল শক্তি স্পিনে। এই শক্তি পাকিস্তানের বিপক্ষে কতটা কাজে আসবে- তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। পেসাররা এখনও তাদের সেরা পারফরম্যান্স দেখাতে পারেননি। পেসাররা যদি স্বরূপে ফেরেন, তাহলে হয়তো পাকিস্তানের ব্যাটিংকে চ্যালেঞ্জ জানানো যাবে। তা না হলে হতাশ হতে হবে বোলারদের। কেননা পাকিস্তানের ব্যাটিং শক্তিশালী। তাদের ব্যাটাররা অধারাবাহিক হলেও লম্বা রানের ইনিংস খেলছেন, তবে কলকাতার মাঠে টস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে। যে দল টস জিতবে, তারা আগে ব্যাটিং করার চেষ্টা করবে। গত ম্যাচের মতোই উইকেটের আচরণ একই রকম দেখা যেতে পারে। যা-ই হোক, ব্যাটাররা রান পাবেন। বড় স্কোর গড়ার সুযোগ হবে।

এ পর্যন্ত বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দুইবার দেখা হয়েছে। ১৯৯৯ সালের আসরে পাকিস্তানকে ৬২ রানে হারিয়ে বিশ্ববাসীকে বিস্ময় উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর দীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে গত আসরে (২০১৯) আবারও সাক্ষাৎ হয় দুদলের। ওই ম্যাচে বাংলাদেশকে ৯৪ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। বিশ্বকাপে দুদলের রেকর্ড সমানে সমান হলেও ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে পরস্পরের বিপক্ষে মোট ৩৮টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। এর মধ্যে ৫টি ম্যাচে জিতেছে বাংলাদেশ। ৩৩টি ম্যাচে জিতেছে পাকিস্তান।

এ বিভাগের আরো খবর