বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নেদারল্যান্ডসের কাছেও হার বাংলাদেশের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক   
  • ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ২৩:২৯

কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানের সংগ্রহ পায় নেদারল্যান্ডস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪২ দশমিক ২ ওভারে মাত্র ১৪২ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশকে পাত্তা না দিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে নেদারল্যান্ডস। ইডেন গার্ডেনসে শনিবার টাইগারদের ৮৭ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্কট এডওয়ার্ডস বাহিনী।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২২৯ রানের সংগ্রহ পায় নেদারল্যান্ডস। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪২ দশমিক ২ ওভারে মাত্র ১৪২ রান তুলেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে ৪টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন ভ্যান মিকরেন।

সহজ লক্ষ্য তাড়ায় রান তাড়ায় ভালো শুরুর প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। তবে শুরুটা ভালো করতে পারেননি দুই ওপেনার লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মাত্র ৩ রান করে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন লিটন। পরের ওভারেই ১৬ বলে ১৫ রান করে আউট হন তানজিদ।

দ্রুত ২ উইকেট হারানোর পর ডাচ বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে চাপ কমানোর চেষ্টা করেন ওয়ানডাউনে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ। এর মাঝে ৯ রান করে নাজমুল হোসেন শান্ত বিদায় নিলে আবারও চাপে পড়ে বাংলাদেশ।

শান্তর মতো ব্যাট হাতে আবারও ব্যর্থ হন সাকিব আল হাসান। ফেরার আগে করেন মাত্র ৫ রান। সাকিবের বিদায়ের পর আউট হন এক প্রান্ত আগলে রাখা মিরাজও। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩৫ রান আসে এই অলরাউন্ডারের ব্যাট থেকে।

টিকতে পারেননি মুশফিকুর রহিমও। আউট হন ১ রানে। ৭০ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর খানিকটা প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন শেখ মেহেদী ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে রান আউটে কাটা পড়ে হতাশায় পুড়তে হয় মেহেদীকে। দ্রুত রান নিতে গিয়ে ১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান ২০ রান করে। শেষদিকে মোস্তাফিজুর রহমানের ২০ ও তাসকিন আহমেদের ১১ রান শুধু হারের ব্যবধান কমায়।

নেদারল্যান্ডসের হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন পল ভ্যান মিকরেন। ২টি উইকেট শিকার করেন বাস ডি লিড। ১টি করে উইকেটের দেখা পান আরিয়ান দত্ত, কলিন আকারম্যান ও ভ্যান বিক।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব বেশি ভালোভাবে করতে পারেনি ডাচরা। বাংলাদেশের বোলাররা চেপে ধরেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটারদের। দলের মাত্র ৪ রানের মধ্যেই সাজঘরে ফিরে যান দুই ওপেনার বিক্রমজিত সিং এবং ম্যাক্স ও’ডাউড।

ওয়ানডাউনে নেমে কাউন্টার অ্যাটাক শুরু করেন ওয়েসলি বারেসি। মারমুখী ব্যাটিংয়ে পরিস্থিতি কিছুটা সামাল দেন তিনি। বেশ আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে রান তুলতে থাকেন বারেসি। তবে বেশি একটা বড় হয়নি বারেসির ইনিংস। ৪১ বলে ৪১ রান করে দলের ৬৩ রানের মাথায় কাটা পড়েন তিনি। তার ঠিক পরের ওভারেই ৩৩ বলে ১৫ রান করে সাজঘরে ফিরেন কলিন আকারম্যান। ৬৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে আরও একবার চাপে পড়ে যায় ডাচরা।

এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। এক প্রান্তে আগলে বেশ সাবলীলভাবে ব্যাট করতে থাকেন তিনি। মাঝে বাস ডি লিড তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন। তবে বেশিক্ষণ টেকেননি ডি লিড। ৩২ বলে ১৭ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন দলীয় ১০৭ রানের মাথায়।

এডওয়ার্ডস এরপর সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেক্টকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস বড় করতে থাকেন। শেষে ফিফটির দেখাও পান ডাচ অধিনায়ক। এর পরও ছুটতে থাকেন তিনি। ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে সিব্র্যান্ড এবং এডওয়ার্ডসের জুটি। ডাচরাও দেখছিল চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করানোর স্বপ্ন। তবে দলের ১৮৫ রানের মাথায় গিয়ে থামেন এডওয়ার্ডস। সাজঘরে ফেরার আগে ৮৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ডাচ অধিনায়ক। ষষ্ঠ উইকেটে সিব্র্যান্ড এবং এডওয়ার্ডস মিলে যোগ করেন ৭৮ রান।

ঠিক তার পরের ওভারে ৩৫ রান করে বিদায় নেন সিব্র্যান্ড। এরপর বেশ ধুঁকে ধুঁকে এগিয়েছে ডাচদের ইনিংস। শেষ দিকে আবার ঝড় তোলেন লোগান ভ্যান বিক। ১৬ বলে ২৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তিনি। পুরো ৫০ ওভার খেলে ২২৯ রান করে অলআউট হয়। ইনিংসের একদম শেষ বলে পল ভ্যান মিকেরেনকে আউট হন।

বাংলাদেশের হয়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজুর রহমান, শেখ মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ এবং শরিফুল ইসলাম। এ ছাড়া ১টি উইকেট শিকার করেন সাকিব আল হাসান।

এ বিভাগের আরো খবর