ফুটবলপ্রেমীদের বহুল প্রতীক্ষিত উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩১ আগস্ট। মোনাকোতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় (বাংলাদেশ সময় রাত দশটায়) ২০২৩-২৪ আসরের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
আসন্ন ২০২৩-২৪ মৌসুমের জন্য হওয়া ড্রয়ে শক্তি ও সামর্থ্যের বিচারে সব ধরনের দল নিয়ে হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ। এবার শক্তিশালী দলের সঙ্গে একই গ্রুপে রয়েছে তুলনামূলক কম শক্তিধর দল। আবার শুধু শক্তিধর দলগুলোকে নিয়ে যেমন হয়েছে গ্রুপ, তেমনই তুলনামূলক দুর্বল দলগুলো নিয়েও রয়েছে গ্রুপ।
ধারাবাহিকভাবে আমরা প্রতিটি গ্রুপ নিয়ে আলোচনা করব। আজ চলুন জেনে নেই গ্রুপ ‘এ’ সম্পর্কে।
গ্রুপ ‘এ’র দল চারটি হচ্ছে- বায়ার্ন মিউনিখ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, এফসি কোপেনহেগেন ও গালাতেসারাই।
২০২৩-২৪ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ ‘এ’ নিয়ে চর্চা হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখের সঙ্গে এক গ্রুপে ইংলিশ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ড্র হওয়ায় হচ্ছে আলোচনা। কারণ চলতি দলবদলের মৌসুমে টটেনহ্যাম থেকে হ্যারি কেইনকে দলে টানার চেষ্টা করেছিল এরিক টেন হাগের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। কিন্তু তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। কেইন পাড়ি জমিয়েছেন জার্মানিতে। একই গ্রুপে দুই দল পড়ায় তাই হ্যারি কেইনের বায়ার্নের মোকাবিলা করতে হবে ইউনাইটেডের।
বায়ার্ন মিউনিখ
জার্মান লিগে প্রতি বছর আধিপত্য বিস্তার করা বায়ার্ন মিউনিখ ইউরোপ সেরার মঞ্চেও কম যায় না। ২০১০-১১ মৌসুমের পর থেকে মাত্র একবার শেষ ষোল পার করতে ব্যর্থ হয়েছে জার্মানির এ ক্লাবটি। এর মধ্যে তিনবার ফাইনালে উঠে দুবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। তাছাড়া প্রতিবছরই ফাইনালসে অংশ নিতে দেখা যায় তাদের।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ও এসি মিলানের পরই লিভারপুলের সঙ্গে যৌথভাবে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন। তবে মূল একাদশের গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় চলে যাওয়ায় এবারের আসরে তারা ঠিক কেমন পারফরম করবে, তা নিয়ে ভক্তদের থাকতে হবে অপেক্ষায়। চলতি গ্রীষ্মকালীন দলবদলে দলটির প্রতিষ্ঠিত দুই সেন্টার ব্যাক লুকা এরনান্দেস ও বেনিয়ামিন পাভার্দ বায়ার্ন ছেড়ে নাম লিখিয়েছেন যথাক্রমে ফ্রান্সের পিএসজি ও ইতালির ইন্টার মিলানে। ফরোয়ার্ড সাদিও মানে সৌদির ক্লাব আল-নাসর এবং মিডফিল্ডার মার্সেল জাবিৎসার গিয়েছেন বায়ার্নের ঘরোয়া প্রতিপক্ষ বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে। মানুয়েল নয়ার ইনজুরিতে পড়ার পর গত মৌসুমে দলে ভেড়ানো গোলরক্ষক ইয়ান জমারও বায়ার্ন ছেড়ে ইন্টার মিলানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। ফলে দলের শক্তি ও ভাসাম্য যে খানিকটা কমে গিয়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অবশ্য দলে শক্তিও বাড়িয়েছে তারা। ইংলিশ ফুটবলের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড হ্যারি কেইনকে রেকর্ড ১০০ মিলিয়নে ইউরোর বিনিময়ে দলে ভিড়িয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। তাছাড়া ৫০ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে নাপোলির দক্ষিণ কোরিয়ান সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার মিন-জায়ে কিমকে দলে টেনেছে তারা। এছাড়া ফ্রি ট্রান্সফারে আরবি লাইপসিজ থেকে বায়ার্নে এসেছে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার কনরাড লাইমার ও ডর্টমুন্ড থেকে লেফট ব্যাক রাফায়েল গেরেইরো।
তবে নতুন খেলোয়াড় এসে নতুন পরিবেশ, নতুন ম্যানেজারের খেলোয়াড়ি দর্শনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে। ফলে কতটা তাড়াতাড়ি বায়ার্ন ম্যানেজার টমাস টুখেল দলে ভারসাম্য এনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজেদের শক্তিমত্তার প্রমাণ দিতে পারবে, সেটা দেখতে অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
২০০৭-০৮ মৌসুমে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। সেবার চেলসির সঙ্গে ফাইনালে ১-১ গোলে ড্রয়ের পর টাই-ব্রেকারে ৬-৫ গোলে জিতে ইউরোপ সেরার মুকুট পরে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের শিষ্যরা। তারপর থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ধুঁকছে দলটি। তার পর ২০০৮-০৯ ও ২০১০-১১ মৌসুমে ফাইনালে উঠলেও দুবারই বার্সেলোনার কাছে হেরে যায় দলটি। তখন থেকে ঘরোয়া লিগসহ ইউরোপিয়ান কম্পিটিশনে খুব বেশি ভালো করতে পারেনি ম্যানচেস্টারের এ ক্লাবটি। গতবার তো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগই পায়নি তারা। তার আগেরবার শেষ ষোলোয় আতলেতিকো মাদ্রিদের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় রেড ডেভিলসদের। ২০২০-২১ মৌসুমে গ্রুপ পর্বই পার হতে পারেনি তারা।
অবশ্য গত মৌসুমে এরিক টেন হাগ দলটির দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই নতুন করে দল গোছানোর চেষ্টা করছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। নতুন খেলোয়াড় দলে টানা ও কোচের পরিকল্পনায় না থাকা খেলোয়াড়দের বিক্রি করে দিয়ে দলবদলের বাজারে তারা বেশ সাড়া ফেলেছে গত দুই মৌসুম ধরে।
চলতি মৌসুমে ক্লাবের প্রথম দুই গোলরক্ষক দাভিদ দে হেয়া ও ডিন হেন্ডারসনকে বিদায় দিয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তাছাড়া ফরোয়ার্ড ভুট ভেগহোর্স্ট, বায়ার্ন থেকে ধারে আনা মিডফিল্ডার মার্সেল জাবিৎসার, ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেদ, ডিফেন্ডার অ্যালেক্স টেলেস ও ব্রেন্ডন উইলিয়ামসকে ছেড়ে দিয়েছেন টেন হাগ।
পরিবর্তে হ্যারি কেইনকে দলে ভেড়াতে ব্যর্থ হয়ে কিনেছেস আতালান্তার ফরোয়ার্ড রাসমুস হইলুনকে। তাছাড়া ইন্টার মিলানের গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা, চেলসির অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ম্যাসন মাউন্টের মতো খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যে ইউনাইটেডের লাল জার্সি পরে খেলা শুরু করেছেন। দলবদলের শেষ সময়ে মরোক্কান মিডফিল্ডার সোফিয়ান আমরাবাট এবং সেভিয়া থেকে উইং ব্যাক সের্হিও রেগিলনকেও দলে টানার চেষ্টা করছে বলে জানা যাচ্ছে।
টেন হাগের নেতৃত্বে গত মৌসুম থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দিয়েছে ইউনাইটেড। গত মৌসুমে রক্ষণে শক্তি বাড়ানোর পর এ মৌসুমে আক্রমণভাগ ও মিডফিল্ডের প্রতি নজর দিয়েছেন দলটির কোচ। নতুন মৌসুমের শুরুতে প্রিমিয়ার লিগে এর ফলও দেখা যাচ্ছে তাদের পারফরম্যান্সে। নতুন করে ফিরে আসা ইউনাইটেড ইউরোপ সেরার মঞ্চে কতটা ভালো করে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
এফসি কোপেনহেগেন
গত মৌসুমে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ালিফাইয়ার খেলার যোগ্যতা অর্জন করে ডেনমার্কের এ ক্লাবটি। ১৯৯২ সালে আত্মপ্রকাশের পর ইউরোপের মঞ্চে প্রায় নিয়মিতই বলা চলে কোপেনহেগেনকে।
১৯৯৩-৯৩ মৌসুমে প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও এ পর্যন্ত তারা ছয়বার ইউরোপ সেরার লিগে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। তবে তাদের সেরা পারফরম্যান্স ছিল ২০১০-১১ মৌসুমে। সেবার শেষ ষোলোতে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে দলটি। তবে চেলসির কাছে হেরে শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হয় তাদের। এছাড়া বাকি মৌসুমগুলোতে গ্রুপ পর্বে অংশগ্রহণ করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাদের।
চলতি মৌসুমে ঘরোয়া লিগে ছয় ম্যাচের পাঁচটিতে জিতে লিগ টেবিলের দুইয়ে রয়েছে কোপেনহেগেন। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাদের বায়ার্ন, ইউনাইটেডর মতো বড় দলের বিপক্ষে ভালো করার সম্ভাবনা ক্ষীণ। এক্ষেত্রে পয়েন্ট টেবিলের তিনে অবস্থান করাই হতে পারে তাদের লক্ষ্য। তাহলে ইউরোপা লিগে অবনমন হলেও ইউরোপিয়ান কোনো আসরে টিকে থাকার সম্ভাবনা থকবে ফুটবল ক্লাব কোপেনহেগেনের।
গালাতেসারাই
দলবদলের এ মৌসুমে দলের শক্তিমত্তা বাড়াতে বেশ ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে গালাতেসারাইকে। পিএসজির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্দিকে ১০ মিলিয়ন ইউরোরর বিনিময়ে ও চেলসি থেকে ধারে মরক্কোর অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হাকিম জিয়েচকে দলে ভিড়িয়ে আলোচনায় উঠে আসে তুরস্কের এ ক্লাবটি। এ ছাড়া ক্রিস্টাল প্যালেসের উইঙ্গার উইলফ্রেড জাহা ও আরবি লাইপসিগের লেফট ব্যাক আঞ্জেলিনিওকে চলতি দলবদলে দলে টেনেছে তারা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জনের পরই যে তারা প্রতিপক্ষকে টক্কর দিতে দলের শক্তি বাড়ানোর চেষ্টা করেছে, একথা স্পষ্ট। ইউরোপের অন্যতম দুই পরাশক্তি বায়ার্ন ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে দিলেও গালাতেসারাইকে নিয়ে এ মৌসুমে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
ট্যাকটিকাল বিশ্লেষণ
নিজের মাঠে তিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই জিতে পূর্ণ পয়েন্ট অর্জন করতে চাইবে বায়ার্ন মিউনিখ। সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষের মাঠেও সবগুলো ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য থাকবে টমাস টুখেলের।
তবে এরিক টেন হাগ এক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। নিজেদের মাঠে ও তুলনামূলক দুর্বল দুই প্রতিপক্ষের মাঠে জয়ের পরিকল্পনা করলেও বায়ার্নের মাঠ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে আসতে চাইবেন তিনি। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে তিনি অবলম্বন করতে পারেন ভিন্ন কৌশল। তুলনামূলক দুর্বল দলগুলোর বিপক্ষে বেশি গোলের ব্যবধানে জেতার লক্ষ্য থাকবে তার। তাহলে বায়ার্নের সঙ্গে পয়েন্ট সমান হলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করার সম্ভাবনা থাকবে তাদের।
গালাতেসারাইয়ের কৌশল নিয়ে খানিকটা ধন্ধে থাকবে সবাই। প্রথমত তারা অন্তত দ্বিতীয় হয়ে পরের রাউন্ডে যাওয়ার চেষ্টা করবে। এক্ষেত্রে বড় দুই দলের যেকোনো একটিকে টার্গেট করতে পারেন ক্লাবটির কোচ ওকান বুরুক। নিজেদের মাঠে বায়ার্ন কিংবা ইউনাইটেডের অন্তত একটি দলের সঙ্গে জিততে পারলে ওই দলের মাঠে গিয়ে অন্তত এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে চাইবেন তিনি। অর্থাৎ নিজেদের সমর্থকের সামনে সব দলের বিপক্ষেই জয় এবং বড় দুই দলের মাঠে গিয়ে অন্তত ড্র এবং কোপেনহেগেনের বিপক্ষে ৬ পয়েন্ট আদায় করতে পারলে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে থাকতে পারে তারা। আর এ কাজে সফল হতে পারলে পরের রাউন্ডে না পৌঁছাতে পারলেও তিনে থেকে ইউরোপা লিগে প্রতিযোগিতা করাটা তাদের জন্য অনেকটা সহজ হয়ে যাবে।
তবে কোপেনহেগেনের চিন্তাটা থাকবে অন্য জায়গাতে। বড় দুই দলের বিপক্ষে অন্তত ড্র করতে চাইবে তারা। আর গালাতেসারাইকে টার্গেট করতে পারে ক্লাবটির কোচ। তুরস্কের ক্লাবটির সঙ্গে দুই লেগেই জিততে পারলে অন্তত ইউরোপা লিগে খেলার সুযোগ পাবে দলটি। তবে বড় দুই দলের বিপক্ষে চমক দেখাতে পারলে পরের রাউন্ডেও উঠে যেতে পারে এ গ্রুপের সবচেয়ে আন্ডারডগ এ দলটি।
প্রেডিকশন
ক্রমিক দল খেলা জয় ড্র হার পয়েন্ট ১ বায়ার্ন মিউনিখ ৬ ৫ ১ ০ ১৬ ২ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ৬ ৩ ২ ১ ১১ ৩ গালাতেসারাই ৬ ২ ১ ৩ ৭ ৪ কোপেনহেগেন ৬ ০ ০ ৬ ০শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) গ্রুপ পর্বের সময়সূচি জানা যাবে। আর গ্রুপ পর্বের খেলা শুরু হবে আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর, যা চলবে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে নকআউট পর্বের খেলা। এ মৌসুমের ফাইনাল ম্যাচটি হবে আগামী বছরের ১ জুন। এবারের ফাইনালের জন্য লন্ডনের ঐতিহ্যবাহী ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামকে নির্ধারণ করেছে উয়েফা।
বর্তমান ফরম্যাটে ৩২ দল নিয়ে প্রতিযোগিতার এটিই শেষ আসর। আগামী মৌসুম থেকে নতুন ফরম্যাটে ভিন্ন আঙ্গিকে চ্যাম্পিয়ান্স লিগের আয়োজন করবে উয়েফা। ৩২ থেকে বেড়ে হবে ৩৬টি দল নিয়ে হবে আগামী মৌসুমের আসর।