বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্পেনকে ২০৩০ বিশ্বকাপ আয়োজন থেকে বাদ দেয়ার দাবি

  • অপূর্ব কুমার দত্ত, ঢাকা   
  • ২৬ মে, ২০২৩ ১৩:৩৯

পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে যৌথভাবে ২০৩০ সালে অনুষ্ঠিতব্য ফিফা বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চায় স্পেন।

বেশ কিছুদিন ধরে বর্ণবাদ ইস্যুতে উত্তপ্ত স্প্যানিশ ফুটবল। তবে সর্বশেষ ২১ মে ভিনিসিউস জুনিয়রের ওপর ভ্যালেন্সিয়ার খেলোয়াড় ও সমর্থকদের তীব্র বর্ণবাদী আচরণের পর নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ব ফুটবলের ভক্ত থেকে শুরু করে নীতি নির্ধারক ও সংবাদমাধ্যমগুলো।

বর্ণবাদী আচরণে ‘যথাযথ’ ব্যবস্থা না নেয়ায় পর্তুগাল ও মরক্কোর সঙ্গে যৌথ আয়োজক হতে চাওয়া স্পেনকে ২০৩০ সালের ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজকের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, স্প্যানিশ কর্তৃপক্ষ সমস্যাটি সঠিকভাবে মোকাবেলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। আর এ বিষয়টিতে ২০৩০ সালের বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য স্পেন কতটা দায়িত্বশীল, ফিফা তা বিবেচনা করতে পারে।

দ্য টাইমসের এক সম্পাদকীয়তে বলা হয়, ‘ইউরোপের অন্য দেশের মতো স্পেন লা লিগা সমর্থকদের শাস্তি দিতে পারে না। তারা কেবল পারে অভিযোগ দায়ের করে বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে বুঝিয়ে দিতে। তারা বলছে, লিগকে আরও ক্ষমতা প্রদানের জন্য তারা দেশটির সরকারকে আইন পরিবর্তন করতে বলবে।’

‘বিশ্বকাপ আয়োজনে এরপরও স্পেনকে দায়িত্ব দেয়ার কথা ভাবাই যায় না। ভিনিসিউসের মতো একজন তরুণ প্রতিভাকেই তারা যদি নিরাপত্তা দিতে না পারল, তাহলে বিশ্ব ফুটবলকে তারা আসলে কী বার্তা দেয়? ত্রিশ বছর আগে ব্রিটেনের মতো স্পেনকেও বিশ্বকাপ (আয়োজন) থেকে বহিষ্কার করা উচিৎ।’

কয়েক বছর ধরে ফুবলাররা বিভিন্ন সময়ে বর্ণবাদী আচরণের স্বীকার হয়ে আসলেও মাস কয়েক আগে থেকে স্পেনে বিষয়টি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।

প্রতিপক্ষের মাঠে, এমনকি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেও বর্ণবাদী আচরণ ও ঘৃণার রোষানলে পড়তে হচ্ছে রিয়াল মাদ্রিদ্রের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ভিনিসিউস জুনিয়রকে। বারবার এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়েও কোনো সুফল পাননি তিনি।

২১ মে ভ্যালেন্সিয়ার মেস্তায়া স্টেডিয়ামে খেলতে গিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার সমর্থকদের তীব্র ঘৃণার শিকার হতে হয়েছে তাকে। ম্যাচ চলাকালিন প্রকাশ্যে ভিনিকে লক্ষ্য করে বর্ণবাদী গালিগালাজ করতে থাকেন স্টেডিয়ামের সমর্থকরা। কয়েকবার এ বিষয়ে প্রতিবাদ করেও তিনি নিস্তার পাননি।

ম্যাচশেষের আগমুহূর্তে এ কারণে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে লালকার্ডও দেখেন ভিনি।

ম্যাচের পর ইনস্টাগ্রামে নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এক পোস্টে ভিনিসিউস বলেন, ‘লা লিগায় বর্ণবাদ স্বাভাবিক বিষয়। কর্তৃপক্ষ এটাকে স্বাভাবিক বলেই ভাবে। এমনকি (স্প্যানিশ ফুটবল) ফেডারেশন এটিকে সমর্থন দেয়। আর প্রতিপক্ষরা এতে (বর্ণবাদ) উৎসাহ দেয়।

‘লা লিগা এক সময় রোনালদো, রোনালদিনিয়ো, মেসি ও ক্রিস্তিয়ানোদের থাকলেও বর্তমানে তা বর্ণবাদীদের দখলে।’

ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘যথেষ্ট মনের জোর আছে আমার। বর্ণবাদীদের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে আমি লড়াই করে যাব। আমাকে যদি এখান (স্পেন) থেকে বহুদূরেও যেতে হয়, আমি বর্ণবাদ নির্মূলে কাজ করব।’

এক সংবাদ সম্মেলনে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, “মেস্তায়ায় যা হয়েছে তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। যখন স্টেডিয়ামের দর্শকরা একজন খেলোয়াড়কে ‘বানর’ বলতে থাকে, আর কোচের ওই খেলোয়াড়কে মাঠ থেকে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হতে হয়, তখন বুঝতে হবে লিগে নিশ্চয়ই সমস্যা আছে।”

এ ঘটনায় ২৩ মে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে স্পেনের পুলিশ।

লা লিগা সভাপতি হাভিয়ের তেবাসও বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, “আমার হাতে যদি ‘পর্যাপ্ত ক্ষমতা’ থাকত, তবে ৬ থেকে ৭ মাসের মধ্যেই লিগ থেকে বর্ণবাদ দূর করতে পারতাম।”

লিগের ক্ষমতা বৃদ্ধির ব্যাপারে জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষমতা না থাকায় আমরা শুধু এ বিষয়ে (ফেডারেশনে) অভিযোগই দাখিল করতে পারি।’

এ বিভাগের আরো খবর