বার্সেলোনা থেকেই আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি ও ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড নেইমার জুনিয়রের বন্ধুত্ব। এরপর ফ্রান্সের ক্লাব প্যারিস সেইন্ট জার্মেইতে (পিএসজি) আবারও ফুটবল বিশ্বের এ দুই তারকা একসঙ্গে। এমনকি ফুটবলের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দেশের জার্সি পরলেও তাদের সম্পর্ক দারুণ। তাদের বন্ধুত্ব নিয়ে নতুন করে কিছু বলারও নেই।
কাতার বিশ্বকাপের মঞ্চ থেকে নিজেদের পথচলা থমকে যাওয়ার পর নেইমারও হয়তো চেয়েছিলেন মেসির হাতেই উঠুক বিশ্বকাপ। না চাওয়াটাই বরং অবাক করত ফুটবল বিশ্বকে, কারণ এক বন্ধুর সাফল্যে তো আরেক বন্ধু শুভেচ্ছা জানাবে- এটাই স্বাভাবিক। মেসি-নেইমারের বেলাতেও হলো তাই।
শিরোপা জয়ের পর মেসিকে অভিনন্দন জানিয়ে ব্রাজিলীয় ফরোয়ার্ড নেইমার টুইটারে লেখেন, ‘অভিনন্দন ভাই।’
এর আগেও আর্জেন্টিনার কাছে ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা হারের পর ড্রেসিং রুমে দুই বন্ধুকে স্বাভাবিকভাবেই সময় কাটাতে দেখা গেছে।
রুদ্ধশ্বাস ফাইনালে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে ৪-২ গোলে হারিয়ে জয় পায় আর্জেন্টিনা। যেখানে জোড়া গোল করেন ৩৫ বছর বয়সী মেসি।
বার্সেলোনা, পিএসজি হয়ে ক্লাব ফুটবলে সম্ভাব্য সব কিছুর দেখা পেলেও জাতীয় দলের জার্সিতে মেসির ১৮ বছরের ক্যারিয়ার ছিল অসম্পূর্ণ। বিশ্বকাপ জয়ের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ফুটবলের এই বরপুত্রের স্বপ্নপূরণ।