কাতার বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ফ্রান্স ও মরক্কোর ম্যাচে রেফারি থাকছেন মেক্সিকান সিজার রামোস। খেলা পরিচালনায় তুলনামূলক কম সমালোচনার শিকার তিনি।
কাতার বিশ্বকাপের ৬৪টি ম্যাচের মধ্যে ৬১টি ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। বাকি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের মধ্যে আছে একটি সেমিফাইনাল, তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ ও ফাইনাল।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বিজয়ী হয়ে ফ্রান্স ও মরক্কোর মধ্যে যে কোনো এক দল খেলবে আর্জেন্টিনার সঙ্গে ফাইনাল। আর মরুর বুকে উঁচিয়ে ধরবে তারা বিশ্বকাপ শিরোপা।
কাতারের আল বাত স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার রাত ১ টায় শুরু হবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও রূপকথার জন্ম দেয়া মরক্কোর ম্যাচ। আর সেই ম্যাচটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন মেক্সিকান রেফারি সিজার রামোস।
৩৮ বছর বয়সী এ রেফারি ২০১৪ সাল থেকে ফিফা রেফারি হিসাবে তালিকাভুক্ত আছেন। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, কনকাকাফ গোল্ড কাপ এবং অলিম্পিক গেমসে ম্যাচ পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে রামোসের।
এবার বিশ্বকাপে তিনি রেফারি হিসেবে বেশ কয়েকটি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। পর্তুগাল ও উরুগুয়ের মধ্যকার নকআউট পর্বের ম্যাচটি পরিচালনার সময় তিনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোকে হলুদ কার্ড দেখিয়ে কিছুটা বির্তকে পড়েছিলেন।
তার পরিচালনা করা ম্যাচের মধ্যে ডেনমার্ক ও তিউনিশিয়াল ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। অন্যটিতে বেলজিয়ামের বিপক্ষে মরক্কো ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল। আর সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে পর্তুগালের ৬-১ গোলে জয়ের ম্যাচটি পরিচালনা করেছিলেন মেক্সিকান এই রেফারি।
আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডস ম্যাচে একটি লাল কার্ড ও ১৭টি হলুদ কার্ড দেখিয়েছেন সেদিন রেফারিংয়ের দায়িত্বে থাকা লাহোজ। তার বিরুদ্ধে ওই ম্যাচের দুই পক্ষই অভিযোগ করেছে। স্প্যানিশ এই রেফারিকে ফিফা বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।
পর্তুগাল ও মরক্কোর ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন এক আর্জেন্টাইন। তাকে নিয়ে সমালোচনা করেছেন পর্তুগালের পেপে, ব্রুনো ফার্নান্দেজ ছাড়াও অনেকে।
অন্যদিকে প্রথম সেমিফাইনালে আর্জেন্টিনা ও ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচের রেফারির বিষয়ও নিয়ে সমালোচনা করেছেন দলটির তারকা ফরওয়ার্ড লুকা মডরিচ।