ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে অস্ট্রেলিয়াকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ধবলধোলাই করার সুযোগ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ম্যাকেতে রোববার সিরিজে শেষে ম্যাচে উল্টো রেকর্ড হারের লজ্জা সঙ্গী হয়েছে দলটির। সিরিজে শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ২৭৬ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ওয়ানডেতে রানের হিসাবে প্রোটিয়াদের এটিই সবচেয়ে বড় হার। আগের রেকর্ডটি ছিল ২৪৩, ২০২৩ সালে কলকাতায় ভারতের বিপক্ষে। প্রথম দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ হার নিশ্চিত করা অস্ট্রেলিয়া রোববার প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে করে ২ উইকেটে ৪৩১ রান। দলটির প্রথম তিন ব্যাটসম্যান ট্রাভিস হেড, মিচেল মার্শ ও ক্যামেরন গ্রিন সেঞ্চুরি করেন। রান তাড়ায় ২৪.৫ ওভারেই ১৫৫ রানে অলআউট দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি স্পিনার কুপার কনোলি ২২ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট। রেকর্ডময় এক ম্যাচে রেকর্ড এটিও। ওয়ানডেতে অস্ট্রেলিয়ার কোনো স্পিনারের এটিই সেরা বোলিং। আগের সেরা ছিল ব্র্যাড হগের। ২০০৫ সালে মেলবোর্নে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন হগ।অস্ট্রেলিয়া সবচেয়ে কম বয়সি খেলোয়াড় হিসেবেও ওয়ানডেতে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন কনোলি। ২২ বছর ২ দিন বয়সি কনোলি ভেঙেছেন ক্রেগ ম্যাকডরমেটের রেকর্ড। ১৯৮৭ বিশ্বকাপে লাহোর পাকিস্তানের বিপক্ষে ২২ বছর ২০৪ দিন বয়সে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন সাবেক এই পেসার। ১৪তম ওভারে মিচেল মার্শ যখন প্রথমবার কনোলিকে বোলিংয়ে আনলেন ৪ উইকেট হারালেও ১০৩ রান তুলে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। টনি ডি জর্জি দ্বিতীয় বলে চারও মেরে দেন কনোলিকে। তৃতীয় বলেই প্রতিশোধ, পুল করতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে অ্যালেক্স ক্যারির ক্যাচ কনোলি। টানা ছয় ওভার বোলিং করা কনোলি এরপর নিজের দ্বিতীয় ওভার ছাড়া উইকেট পেয়েছেন প্রতি ওভারেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসে ২৮ বলে সর্বোচ্চ ৪৯ রান ডেভাল্ড ব্রেভিসের। ৩০ বলে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান ডি জর্জির। এছাড়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা ১০ বলে করেছেন ১৯ রান। অস্ট্রেলিয়ার দুই পেসার জেভিয়ার বার্টলেট ও শন অ্যাবট ২টি করে উইকেট নিয়ে ৮.১ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৫০/৪ বানিয়ে দেন। সেখান থেকেই ৩২ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন ডি জর্জি ও ব্রেভিস।