আর কয়েক ঘণ্টা পরই সেমিফাইনালের লড়াই শুরুর আগে টস করতে ও ব্যজ বিনিময় করতে একে অপরের সামনে দাঁড়াবেন লিওনেল মেসি ও লুকা মডরিচ। আধুনিক ফুটবলের এই দুই গ্রেটের কাঁধে থাকছে নিজ দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে তোলার গুরু দায়িত্ব।
৩৫ বছরের মেসি আর্জেন্টিনার জন্য যতটুকু গুরুত্বপূর্ণ, ৩৭ বছরের মডরিচ ক্রোয়েশিয়ার জন্যও তাই। দুই আইকনিক ফুটবলারের জন্য হতে পারে জাতীয় দলের জার্সিতে এটাই শেষ ম্যাচ।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বহুবার একে অপরের মোকাবিলা করেছেন মেসি ও মডরিচ। কখনই জাতীয় দলের জার্সিতে, কখনও বা ক্লাবের হয়ে।
মডরিচের শুরুর ম্যাচের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন মেসি। ২০০৬ সালে ১ মার্চ আর্জেন্টিনার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অভিষেক হয় ২১ বছর বয়সী মডরিচের। আগের বছর অভিষেক হওয়া মেসি ওই ম্যাচে পেয়েছিলেন আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজের প্রথম গোল।আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের চেয়ে বেশিবার দুইজনের দেখা হয়েছে ক্লাব ফুটবলে। স্প্যানিশ লা লিগার দুই প্রতাপশালী দল বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের স্তম্ভ ছিলেন দুই জন।
প্রায় এক দশক রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডের নেতা হয়ে থাকা মডরিচ লস ব্লাঙ্কোদের হয়ে জিতেছেন ৫টি চ্যাম্পিয়নস লিগ, ৩টি স্প্যানিশ লিগ ও ৪টি ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা। ব্যালন ডর জিতেছেন একবার।
মেসিও বার্সেলোনার জার্সিতে জিতেছেন অসংখ্য শিরোপা। ৪টি চ্যাম্পিয়নস লিগ। ১০টি লিগ শিরোপা ও ৩টি ফিফা ক্লাব বিশ্ব কাপ। রেকর্ড ৭ বার ব্যালন ডর জিতেছেন মেসি।
দুই কিংবদন্তির আক্ষেপ একটাই। বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে বড় শিরোপা বিশ্বকাপ। ২০১৪ সালে দলকে নিয়ে ফাইনালে গিয়েছিলেন মেসি। হেরে যান জার্মানির কাছে।
মডরিচও ক্রোয়েশিয়ার সোনালি প্রজন্মকে নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বকাপ সাফল্যের একেবারে কাছে। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয় তার।
শেষবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের অভিযানে রয়েছেন মেসি ও মডরিচ। সেমি জিতে দুইজনই এগিয়ে যেতে মুখিয়ে রয়েছেন নিজ লক্ষ্যের দিকে।