ইশান কিশানের ডাবল সেঞ্চুরি ও ভিরাট কোহলির সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডেতে ৪১০ রানের পাহাড়সম টার্গেট দিয়েছে সফরকারী ভারত। এর আগে ইতিহাসে এমন টার্গেটের মুখোমুখি হয়নি বাংলাদেশ।
ম্যাচের শুরুটা ভালো করলেও শেষ পর্যন্ত তা আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটার শিখর ধাওয়ানকে ৩ রানে ফেরান অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। দলীয় ১৫ রানে প্রথম উইকেট হারালেও পরবর্তী সময়ে আর চাপে পড়তে হয়নি ভারতীয় ব্যাটারদের। উল্টো আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে তারা।
ধাওয়ান ফিরে গেলে ব্যাটিংয়ে নামেন কোহলি। তার সঙ্গে জুটি গড়েন আরেক টপ অর্ডার ব্যাটার ইশান কিশান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে টপ অর্ডারের এ দুই ব্যাটার তোলেন ২৯০ রান। বাংলাদেশের বিপক্ষে যেকোনো উইকেটে ওয়ানডেতে এটা সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড।
১৩১ বলে ২১০ রান করে পেইসার তাসকিন আহমেদের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ইশান কিশান। তার এই ইনিংসটি ২৪টি চার ও ১০ ছক্কায় সাজানো ছিল।
চট্টগ্রামে ২১০ রানের রেকর্ড গড়া ইনিংসের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন ইশান কিশান। সঙ্গে তুলে নিলেন ডাবল সেঞ্চুরিও। তাও আবার ১২৬ বলে। ওয়ানডে ইতিহাসে এখন এটিই দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরি।
আগের রেকর্ডটি ছিল ক্রিস গেইলের। ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩৮ বলে ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন তিনি।
এরপর টানা দুই ওভারে আইয়ার আর রাহুলকে আউট করেন এবাদত। ৩ রান করে আইয়ার হন লিটন দাসের ক্যাচ আর লোকেশ রাহুল ৮ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাজঘরে।
অন্যদিকে ক্যারিয়ারের ৪৪তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তার চতুর্থ সেঞ্চুরি। ৯১ বলে কোহলির ১১৩ রান করে সাকিব আল হাসানের বলে আউট হন তিনি। এ যাত্রায় তিনি ১১ চার আর ২ ছক্কা মারেন।
শেষদিকে অক্ষর প্যাটেল ১৭ বলে ২০ আর ওয়াশিংটন সুন্দর ২৭ বলে ৩৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতকে চার শ’র বেশি সংগ্রহ এনে দেন।
বাংলাদেশের পক্ষে এবাদত হোসেন, সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ নেন ২টি করে উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান ও মেহেদি হাসান মিরাজ নেন ১টি করে উইকেট।