বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের ম্যাচে ১৮টি হলুদ কার্ড দেখেছেন দুই দলের খেলোয়াড়রা। পুরো ম্যাচে ৪৮ বার বাজানো হয়েছে ফাউলের বাঁশি। এতে করে দুই দলের খেলোয়াড়রাই বিরক্ত হয়েছেন।
ম্যাচের মধ্যেই হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি ও কোচিং স্টাফ ওয়াল্টার সামুয়েলকে। হলুদ কার্ড দেখা থেকে বাদ যাননি আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসিও।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে শুক্রবার নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ১২০ মিনিট খেলার পর ২-২ গোলে ড্র করে আর্জেন্তিনা। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকে ৪-৩ গোলে জয় বাগিয়ে নেয় মেসিবাহিনী। ম্যাচ শেষে মেসি ধুয়ে দেন স্প্যানিশ অ্যান্তোনিও মাতু লাহোজকে।
এমন রেফারিংয়ের কারণে আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি কিছু বলতে চাই না; বললে শাস্তি পেতে হবে। মানুষ দেখেছে কী হয়েছে, কিন্তু আমার মনে হয়, এমন রেফারিকে এই ধরনের ম্যাচে দায়িত্ব দেয়া উচিত নয় ফিফার। তাদের এটা পুনর্বিবেচনা করা উচিত। যে নিজের কাজটা ভালোভাবে জানে না, এত গুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে তাকে দায়িত্ব দেয়া উচিত নয়।
‘আমরা খুব একটা ভালো খেলতে পারিনি। এর মধ্যে রেফারির কারণেই খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে। তিনি সবসময় আমাদের বিপক্ষে ছিলেন। এমনকি যে গোলটি দিয়ে সমতায় ফিরেছে ওরা, সেটাও ফাউল ছিল না।’
বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসের এক ম্যাচেই ১৮ বার হলুদ কার্ড দেখেছেন দুই দলের খেলোয়াড়রা, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। আর ডাচ ডিফেন্ডার ডেনজেল ডুমফ্রিজকে তো শেষের দিকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বিদায় দেন রেফারি।