ফিফা বিশ্বকাপের এবারের আসরে গ্রুপ পর্বে এক ম্যাচ করে হেরে সুপার সিক্সটিনে যায় ইউরোপের দেশ ফ্রান্স ও পোল্যান্ড। ‘ডি’ গ্রুপে তৃতীয় ম্যাচে তিউনিসিয়ার বিপক্ষে হারলেও শেষ পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্বে পা রাখে ফ্রান্স।
অন্যদিকে ‘সি’ গ্রুপ থেকে শেষ ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে হেরে দ্বিতীয় দল হিসেবে শেষ ষোলোতে পৌঁছায় লেওয়ানডোভস্কির পোল্যান্ড।
শেষ ষোলোর লড়াইয়ে দোহার আল-থুমামা স্টেডিয়ামে রোবাবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে লড়বে পোল্যান্ড।
শক্তির দিকে থেকে পোলিশদের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে হারের কারণে আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন না ফ্রান্সের কোচ দিদিয়ের দেশম। এবার তারা মাঠে নামবে ১৯৮৬ সালের পর প্রথমবার নকআউট পর্বের টিকিট পাওয়া পোল্যান্ডের বিপক্ষে।
২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে গতির ঝড়ে আর্জেন্টিনার বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে উত্থান ঘটে ফ্রান্সের তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপের, তবে গত বছর ইউরোতে তিনি আলো ছড়াতে পারেননি। তার পেনালটি মিসে সুইজারল্যান্ডের কাছে টাইব্রেকে হেরে বিদায় নেয় দলটি।
রিয়াল মাদ্রিদের আরেক তারকা স্ট্রাইকার কারিম বেনজেমা চোটের কারণে এবারের বিশ্বকাপে না থাকায় ফ্রান্সের হয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে ২৩ বছর বয়সী এমবাপের।
১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সঙ্গে ৪-০ গোলে হেরে নকআউট পর্ব থেকে বিদায় নেয়া পোল্যান্ডের এবার ভরসা করতে হচ্ছে বার্সেলোনার ‘গোল মেশিন’ খ্যাত রবার্ট লেওয়ানডোভস্কির ওপর।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচে হারলেও লিওনেল মেসির পেনাল্টি শট রুখে নায়ক বনে যান পোলিশ গোলকিপার ভইচেক শেজনি। তিনি এবারের বিশ্বকাপে সৌদি আরবের বিপক্ষে ম্যাচেও দারুণ এক পেনাল্টি শট রুখে দেন।
টাইব্রেকার বাদে দুটি পেনাল্টি শুট রুখে দিয়ে আলোচনায় রয়েছেন শেজনি। এর মধ্যে ২০০২ সালের বিশ্বকাপে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যাড ফ্রিডেল ও ১৯৭৪ সালে ইয়ান তমাসেভস্কির পর বিশ্বকাপে তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে দুটি পেনাল্টি সেভ করার কীর্তি গড়েন পোলিশ এ গোলরক্ষক।
ফ্রান্স এখন পর্যন্ত ১৬ বার মোকাবিলা করেছে পোল্যান্ডের। এর মধ্যে ১১টি ছিল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। ইউরোপের সেরা প্রতিযোগিতা ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচ ছিল চারটি।
বিশ্বকাপের মূল আসরে দেখা হয়েছে একবার। ১৯৮২ বিশ্বকাপে পোল্যান্ডের কাছে পরাজিত হয়ে আসর থেকে ছিটকে গিয়েছিল ফ্রান্স।
ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চার ম্যাচের মধ্যে দুটি জয় ও দুটি ম্যাচ ড্র করেছে ফ্রান্স। সব মিলিয়ে ফ্রান্স জিতেছে আট ম্যাচে। ড্র হয়েছে পাঁচটি। আর তিনটি ম্যাচে জয়ী হয়েছে পোল্যান্ড। বিশ্বকাপ আসরে দুই দলের এটি দ্বিতীয় সাক্ষাৎ।