বিশ্বকাপ কিংবা যেকোনো আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচে দলের অধিনায়ককে আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব। তার বাঁ হাতে বাঁধা থাকে ক্যাপ্টেনস আর্মব্যান্ড। জার্সি থেকে সাধারণত ভিন্ন রঙের হয়ে থাকে আর্মব্যান্ড।
অধিনায়ক ম্যাচের আগে প্রতিপক্ষ অধিনায়কের সঙ্গে ক্রেস্ট ও ফ্ল্যাগ বিনিময় করেন। এরপর মাঠের কোন প্রান্ত থেকে আক্রমণ করবে তার দল সেটি কয়েন টস করে নির্ধারণ করেন।
আনুষ্ঠানিকভাবে অধিনায়কের কাজ এটুকুই। ক্রিকেট বা রাগবির মতো স্ট্র্যাটেজিক খেলার চেয়ে ফুটবলে অধিনায়কের মাঠে ভূমিকা আপাতদৃষ্টিতে কম মনে হতে পারে। ফুটবল অধিনায়কের দায়িত্ব আদতে যা দেখা যায় তার চেয়ে বেশি।
মাঠে অধিনায়কের ভূমিকা মূলত একজন নেতার। যিনি সতীর্থদের প্রয়োজনের সময় উজ্জীবিত করেন ও নির্দেশ দেন। রেফারি ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে সমন্বয়কারী হিসেবেও ফুটবল অধিনায়ক মাঠে দায়িত্ব রাখেন।
এ ছাড়া কোচের নির্দেশ ও পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, সেটার দিকেও তীক্ষ্ণ নজর রাখতে হয় তাকে।
দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ক্ষেত্রে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেন না যায় সে লক্ষ্যে রেফারি অধিনায়ককেই অনুরোধ করেন।
মাঠের বাইরে অধিনায়কের ভূমিকাটা আরও বড়। দলকে সুশৃঙ্খল রাখা, প্রেস কনফারেন্সে কে কথা বলবে বা কী বলবে সেটা নিয়ে আলোচনা করা ও কোচের সঙ্গে মিলে দলের একাদশ, পরিকল্পনা ঠিক করাও অধিনায়কের দায়িত্ব।
মাঠ ও মাঠের বাইরে দলের আইকন হিসেবেই অধিনায়ক উপস্থিত থাকেন বিশ্বকাপ, ইউরো, কোপা আমেরিকা বা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো বড় আসরগুলোতে।
কোনো কোনো অধিনায়ক বেশ বহির্মুখী। যেমন, ফ্রান্সের অধিনায়ক উগো লরিস, জার্মানির অধিনায়ক মানুয়েল নয়্যার। আবার আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি অন্তর্মুখী। প্রকাশভঙ্গি ভিন্ন হলেও দায়িত্ব সব ক্ষেত্রেই তাদের সমান।