সৌদি আরবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ হারের পর আর্জেন্টিনার জন্য নকআউট পর্বে খেলার সমীকরণটা বেশ জটিল হয়ে পড়ে, তবে শেষ পর্যন্ত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে লাতিন আমেরিকার দলটি।
দোহার নাইন সেভেন্টিফোর স্টেডিয়ামে পোল্যান্ডের বিপক্ষে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে নিওনেল স্কালোনির দল।
দলের তারকা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি পেনাল্টি মিস করে যখন নায়ক থেকে খলনায়ক হওয়ার অপেক্ষায়, তখন ত্রাণকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হন আলেক্সিস ম্যাকঅ্যালিস্টার। ৪৬তম মিনিটে তার গোলে ডেডলক ভাঙে আর্জেন্টিনা।
ম্যারাডোনার ক্লাব আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সে বেড়ে ওঠা ম্যাকঅ্যালিস্টারের ছোটবেলা থেলেই স্বপ্ন ছিল লিওনেল মেসির সতীর্থ হয়ে খেলার। ২৩ বছর বয়সী এই তরুণ নিজের স্বপ্নটা পূরণ করলেন আর্জেন্টিনার পোস্টার বয় মেসির বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্নটা বাঁচিয়ে রেখে।
ম্যারাডোনার সঙ্গে অবশ্য বেশ কিছু মিল রয়েছে ম্যাকঅ্যালিস্টারের। একই শহর বুয়েন্স এইরেসে তাদের জন্ম। ফুটবল ক্যারিয়ারের শুরুটা দুজনেরই একই ক্লাবে। এমনকি ম্যারাডোনার মতোই বোকা জুনিয়র্সের হয়েও কিছুদিন খেলেছিলেন তিনি।
ম্যাকঅ্যালিস্টারের বাবা কার্লোস জেভিয়ার অ্যালিস্টার ছিলেন ম্যারাডোনারই সতীর্থ। বাবা ফুটবলার হওয়ার সুবাদে ৬ বছর বয়স থেকে ফুটবল খেলা শুরু করেন ব্রাইটনের এ মিডফিল্ডার।
ম্যাকঅ্যালিস্টার বর্তমানে প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ব্রাইটনের হয়ে খেলছেন। ২০২০ সালে ক্লাবে খেলা শুরু করলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সেভাবে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। ২০২১-২২ মৌসুমে ক্লাবের হয়ে দারুণ পারফরম্যান্স করেন তিনি। তাকে আর্জেন্টিনা দলের ভবিষ্যৎও ভাবা হচ্ছে।
আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্সের পর বোকা জুনিয়র্সে ১৩টি ম্যাচ খেলে ২০১৯ সালে ব্রাইটনে যোগ দেন ম্যাকঅ্যালিস্টার। ক্লাবটির গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়ে নিজেকে পরিণত করতে সময় নেননি তিনি।
২০১৯ সালে আর্জেন্টিনার হয়ে অভিষেকের পর জাতীয় দলের জার্সিতে দশম ম্যাচে এসে পেলেন ক্যারিয়ারের প্রথম গোল। সে গোলও আবার বিশ্বকাপের মঞ্চে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে।