বিশ্বকাপের স্বাগতিক দেশ হিসেবে এত বাজে পারফরম্যান্স এর আগে দেখায়নি কোনো দলই। এবারের ফিফা বিশ্বকাপে কাতারের শুরুটা হয় ইকুয়েডরের বিপক্ষে হার দিয়ে। রেকর্ড গড়া সেই হারের পর নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও একই ভাগ্য বরণ করে নিতে হলো স্বাগতিকদের।
সেনেগালের বিপক্ষে কাতারকে হারতে হয়েছে ৩-১ গোলে। প্রথমার্ধে ১ গোলে পিছিয়ে থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরও এক গোল হজম করে তারা। পরে এক গোল শোধ করলেও শেষদিকে সেনেগাল আরও একবার বল জড়ায় কাতারের জালে।
ম্যাচের শুরু থেকেই স্বাগতিকদের চেপে ধরে সেনেগাল। বল দখল থেকে শুরু করে আক্রমণ সব কিছুতেই ছিল তাদের আধিপত্য। সেনেগালের ফুটবলারদের বিপক্ষে শুরু থেকেই রীতিমতো সংগ্রাম করতে হয়েছে তাদের।
তবে প্রথম গোলের দেখা পেতে তাদের অপেক্ষা করতে হয় ম্যাচের ৪১ মিনিট পর্যন্ত। বাঁ দিক থেকে দিয়াতার নেয়া ক্রস গোলপোস্টের কাছাকাছি থেকে মিস করেন খৌখি। কিন্তু সেটি রিসিভ করে দুর্দান্ত এক শটে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে দলকে লিড এনে দেন বৌলায়ে দিয়া।
বিরতি থেকে ফিরে তৃতীয় মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে সেনেগাল। কর্ণার থেকে নেয়া শট ডি বক্সের ছয় গজের ভেতর অরক্ষিত অবস্থায় পেয়ে যান ফামারা দিধু। সেখান থেকে ফ্লিক করে ব্যবধান বাড়ান সেনেগালের এই স্ট্রাইকার।
৭৮ মিনিটে বিশ্বকাপে প্রথম গোল পায় কাতার। আর সেই গোলের নায়ক মোহাম্মদ মুনতারি।
ব্যবধান কমানোর ৬ মিনিটের মাথায় ফের এগিয়ে যায় সেনেগাল। বাম্বা দিয়েংয়ের সুবাদে ব্যবধান বাড়ে সেনেগালের।
শেষদিকে বেশ কয়েকটি কর্ণার আর সুযোগ পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে পারেনি সেনেগাল। আর সে কারণেই ৩-১ গোলের জয় নিয়ে সন্তুষ্ট চিত্তেই মাঠ ছাড় তারা।