ডিসেম্বরের শুরুতেই ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সিরিজকে সামনে রেখে ২৪ নভেম্বর অনুশীলনে নামার কথা রয়েছে টাইগারদের।
সিরিজ শুরু হতে বাকি আর ১৫ দিন। কিন্তু এখনও জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলের ইস্যুর সমাধান করতে সক্ষম হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্স, বোলিং কোচ অ্যালান ডনাল্ড ও টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরণ শ্রীরামের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত। সেই মোতাবেক বর্তমানে এই তিন কোচের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি শেষ বিসিবির।
কিন্তু বিশ্বকাপ মিশন শেষ হওয়ার পর দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তাদের বিষয়ে চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব হয়নি বোর্ডের পক্ষে। এখনও ঝুলে আছে তাদের ভাগ্য।
বোর্ডের পক্ষ থেকে চুক্তি নবায়নের ইঙ্গিত মিললেও সেটি আনুষ্ঠানিক নয়। যে কারণে এক প্রকারে দোলচালেই রয়েছে জাতীয় দল।
শ্রীরাম, ডনাল্ডের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের বিষয়টি ইতোমধ্যে বোর্ড কর্তারা ইঙ্গিতে বোঝালেও সিডন্সের বিষয়ে সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি বোর্ড। যার ফলে এখন পর্যন্ত এটা নিশ্চিত যে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে থাকা হচ্ছে না সিডন্সের।
তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে নারাজ বোর্ড। ক্রিকেট অপারশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনূসের কথায় তারই প্রমাণ মেলে স্পষ্ট।
জালাল বলেন, ‘ওয়ানডে সিরিজে থাকছে না এটা এখনও চূড়ান্ত না। আমরা এখনও সিদ্ধান্ত নেইনি।’
সিডন্সের সঙ্গে বোর্ডের চুক্তি অনুযায়ী জাতীয় দলের পাশাপাশি অন্য জায়গাতেও কাজ করতে বাধ্য অজি এই কোচ। অন্য জায়গা বলতে এ-দল বা এইচপি দলের সঙ্গেও বোর্ড চাইলে তাকে দিয়ে কাজ করাতে পারবে।
ভারতের জাতীয় দলের বিপক্ষে সিরিজের আগে বাংলাদেশ এ-দলের সিরিজ রয়েছে ভারতের এ-দলের সঙ্গে। আর সেখানে সিডন্সকে বসানোর ইঙ্গিত মেলে জালাল ইউনূসের কথায়।
জালাল বলেন, ‘যেহেতু তার চুক্তিটা শুধু জাতীয় দল কেন্দ্রিক নয়। ওকে (সিডন্স) অন্য জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হতে পারে। ভারত সিরিজ চলাকালীন আমাদের অন্য খেলাও আছে। এমনও হতে পারে সে সেখানে দায়িত্ব পালন করছে। ও আসলে আমরা আলোচনা করব, এরপর একটা সিদ্ধান্ত নেব।’
বর্তমানে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন সিডন্স। এদিকে সিরিজকে সামনে রেখে ১৪ নভেম্বর দেশে ফিরেছেন রাসেল ডমিঙ্গো। ২৬ নভেম্বর হেরাথ ও ডনাল্ডসহ বাকিদের দলের সঙ্গে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।