টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অষ্টম আসরের শুরুটা বাংলাদেশ করেছিল নেদারল্যান্ডসকে হারানোর মধ্য দিয়ে। এরপর সাউথ আফ্রিকা, ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে বাজেভাবে হারলেও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছিল টাইগাররা।
দুইবার বাংলাদেশের সামনে হাতছানি ছিল প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়ার। প্রথমটি ছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে। সেখানে ভাগ্যের কাছে হার স্বীকার করে প্রথমবারের মতো সেমির স্বপ্ন ভেঙেছিল বাংলাদেশের।
এরপর রোববার দিনের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে সাউথ আফ্রিকার পরাজয়ের পর আরও একবার সেমির স্বপ্নজাল বোনা শুরু করে টিম টাইগার্স। কিন্তু বিতর্কিত আম্পায়ারিং, ধারাবাহিকতাহীন ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং ও চাপ সামলাতে না পারায় চূড়ান্তভাবে স্বপ্ন ধূলিসাৎ হয় লাল-সবুজ জার্সিধারীদের।
অর্জনের খাতায় কেবল নেদারল্যান্ডস ও জিম্বাবুয়ের মতো খর্বশক্তির দলের বিপক্ষে জয় থাকলেও টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের চোখে এটি বাংলাদেশের সফলতম বিশ্বকাপ।
ম্যাচ শেষে সাকিব বলেন, ‘১০ ওভার শেষে আমাদের স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৭০। আমরা চেয়েছিলাম ১৪৫-১৫০ রান করতে, এই পিচে যেটি হতো ভালো একটি সংগ্রহ।’
‘জানতাম যে নতুন ব্যাটারদের জন্য ব্যাট করা কঠিন হবে, তাই সেট হওয়া ব্যাটাররাই স্কোরটাকে এগিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হয়নি। ফলাফলের দিক দিয়ে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।’