গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে প্রথম হারের স্বাদ পায় স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ। পরের ম্যাচ লা লিগায় আবারও হোঁচট খায় জিরানোর সঙ্গে পয়েন্ট ভাগ করে, তবে বুধবারের ম্যাচে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গ্লাসগো সেল্টিককে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে গেল রিয়াল মাদ্রিদ।
দলের অন্যতম সেরা তারকা কারিম বেনজেমা না থাকায় আগের দুই ম্যাচে হতাশ হলেও এ ম্যাচে কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে খুশি করেছেন রদ্রিগো-ভিনিসিয়াসরা।
ম্যাচ শুরুর ৬ মিনিটেই লিড নেয় রিয়াল। সফল স্পটকিকে বল জালে জড়ান লুকা মদ্রিচ। জার্মান ডিফেন্ডার মরিৎস ইয়েন্সের হাতে বল লাগলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।
১৩ মিনিট পর আবারও পেনাল্টি পায় রিয়াল। এবার বক্সের ভেতর ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রদ্রিগোর নেয়া শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের হাতে লাগলে ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। এর মধ্য দিয়ে স্পটকিকে সফল হন রদ্রিগো। এতে করে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় রিয়াল।
পাল্টা আক্রমণে ব্যবধান কমানোর চেষ্টা করে সেল্টিক, তবে বিরতির আগে আর গোলের দেখা পায়নি কেউই।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ৬ মিনিটের মধ্যে স্কোরলাইন ৩-০তে পরিণত করেন রিয়ালের মার্কো আসেনসিও। এর পর ৬১তম ও ৭১তম মিনিটে ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও ফেদে ভালভেরদের দুই গোলে হাফ ডজন পূর্ণ করে রিয়াল। এতে করে ব্যবধান বেড়ে ৬-০তে এগিয়ে থাকে রিয়াল।
অন্যদিকে গোল ব্যবধান কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে সেল্টিক, তবে ম্যাচ শেষ হওয়ার ৬ মিনিট আগে একটি গোল করে ব্যবধান কমিয়ে ৬-১ গোলে ম্যাচ শেষ করে তারা।
৬ ম্যাচে চার জয় ও এক ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোতে যোগ দিল রিয়াল মাদ্রিদ। একই গ্রুপ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে আরবি লাইপসিগ ১২ পয়েন্ট নিয়ে পরের রাউন্ডে খেলবে।
সেল্টিকের বিপক্ষে রিয়াল হারলে বা ড্র করলে তারাই হতো গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। একই গ্রুপ থেকে ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শাখতার দোনেৎস্ক ও ২ পয়েন্ট নিয়ে আসর থেকে বিদায় নিয়েছে সেল্টিক।
আরেক ম্যাচে স্প্যানিশ ক্লাব সেভিয়ার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধে রাফা মির সেভিয়াকে এগিয়ে রাখলেও শেষ পর্যন্ত জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিটিজেনরা।
রিকো লুয়িসের গোলে সমতায় ফেরার পর দলকে এগিয়ে নেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড হুলিয়ান আলভারেস। শেষের দিকে আরেকটি গোল করেন রিয়াদ মাহরেজ।
এ জয়ের ফলে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘জি’র শীর্ষে থেকে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করেছে পেপ গার্দিওলার দল। অন্যদিকে একই গ্রুপে থাকা ডর্টমুন্ড ৯ পয়েন্ট নিয়ে খেলবে শেষ ষোলোতে।