বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) কাজে খুশি সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। তবে তিনি হতাশ জেলা পর্যায়ের লিগ আয়োজনে স্থানীয় কমিটির ব্যর্থতায়।
রাজধানীর একটি হোটেলে শনিবার বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভায় তিনি এ হতাশার কথা বলেন।
বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘জেলাগুলো নিজের দায়িত্ব পালন না করে বাফুফের দিকে তাকিয়ে থাকে। এই সমস্যা এখনও সমাধান করতে পারছি না। কেননা, আমি আমার কাজ করতে পারি, তাদের কাজ করতে পারি না। আমি কেবল তাদের সাহায্য করতে পারি।
‘তারা খালি টাকা চায়; আমিও টাকা চাই, তারাও টাকা চায়। আমার কাছে যখনই টাকা এসেছে, তাদেরকে দিয়েছি। এর আগে সরকারের কাছ থেকে যে টাকা এসেছিল তার ৫০ শতাংশ তাদের দিয়েছি। টাকা থাকলে তো টাকা দিবো, না থাকলে কীভাবে দিবো?’
বাফুফের সাধারণ সভায় গত বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও অডিট রিপোর্ট পাস হয়। ২/১ জন কাউন্সিলর বাদে বাকিরা আর্থিক প্রতিবেদন নিয়ে প্রম্ন তোলেননি। আত্মতুষ্টির কথা জানান সভাপতি নিজেও।
গত আর্থিক বছরে বাফুফের ব্যয় হয়েছে ৩৩ কোটি ৭৯ লাখ ৪১ হাজার টাকা। যার বিপরীতে আয় ছিল ২৮ কোটি ৮০ লাখ ৮ হাজার টাকা। এতে ঘাটতি প্রায় পাঁচ কোটি টাকা।
নতুন আর্থিক বছরে আট কোটি টাকার সম্ভাব্য ঘাটতি ধরে নতুন বাজেট করেছে বাফুফে। আর সব খাত থেকে সম্ভাব্য আয় ৪১ কোটি ৯৫ লাখ ধরা হয়েছে।
নতুন বছরে ঘাটতি পুষিয়ে নেয়ার ব্যাপারে সালাউদ্দিন আশাবাদী হলেও জেলা লিগের সমস্যা এখনই সমাধান করতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন তিনি।
কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘সবচেয়ে বড় সমস্যা জেলা নিয়ে। আমরা যে লিগ করি, এটা করতে ফিফা কিন্তু আমাকে বাধ্য করে না। তারপরও এটার আয়োজন করি। কারণ এটাই আমার কাজ। তবে সমস্যা হচ্ছে, অনেকে নিজেদের জেলায় লিগ করেন না, উনারা তাকিয়ে থাকেন বাফুফের দিকে, আমরা কীভাবে সাহায্য করবো সেদিকে।’
আলোচনায় অনেক বিষয়ের সঙ্গে উঠে আসে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নারী দলের সাফল্য এবং ছেলেদের ফুটবলের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ। বাফুফে সভাপতির পাশাপাশি সদস্যরাও নারী ফুটবলের সাফল্য নিয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করেন।