রাশিয়ার সামরিক অভিযানে সমর্থন জানানোর অভিযোগে ইউক্রেনের শীর্ষ ক্লাব শাখতার দোনেৎস্ক ফিফার কাছে ইরানকে বিশ্বকাপ থেকে বাদ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ক্লাবের প্রধান নির্বাহী সার্জি পালকিন অভিযোগ করে বলেন, ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনে ইরানের সরাসরি অংশগ্রহণ রয়েছে।
এ সময় তিনি বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ইরানের পরিবর্তে ইউক্রেনকে কাতারে অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানান। পালকিনের জোর দাবি, কিয়েভে হামলায় ইরানের ড্রোন-সহায়তা পেয়েছে রাশিয়া।
চ্যাম্পিয়নস লিগে সেল্টিকের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন পালকিন এক বিবৃতিতে বলেন, ফিফা যদি এই সিদ্ধান্ত নেয় তবে এটা হবে পুরো বিশ্বের সামনে একটি সেরা সিদ্ধান্ত। এর মাধ্যমে ইউক্রেনের জনগণও হত্যার ঝুঁকি থেকে রেহাই পাবে।
শাখতারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পালকিন নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এ সম্পর্কে লিখেছেন, ইরানের নেতারা যখন বিশ্বকাপে নিজেদের জাতীয় দলের খেলা দেখে আনন্দ পাবেন তখন ইরানের ড্রোন দিয়ে ইউক্রেনিয়ানদের হত্যা করা হবে। ড্রোন ইরানের তৈরি ও ইরান এগুলো সরবরাহ করেছে। ইরানের সামরিক বাহিনী এই ড্রোন চালনা ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
ড্রোন যে ইরানের তৈরি এ বিষয়ে রাশিয়া ও ইরান উভয় দেশই অস্বীকার করেছে।
আগামী ২১ নভেম্বর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ইরান তাদের বিশ্বকাপ শুরু করবে। গ্রুপ-বিতে তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ ওয়েলস ও যুক্তরাষ্ট্র। জুনে ইউক্রেনকে প্লে-অফে হারিয়ে ওয়েলস বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
শাখতারের এই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ফিফা তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে এশিয়ান কোনো দলকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তবে তার পরিবর্তে কোনো ইউরোপিয়ান দলকে খেলার অনুমতি দেয়ার কোনো এখতিয়ার ফিফার নেই।
সরকারি সিদ্ধান্তে সামরিক এই ধরনের আগ্রাসনের কারণে কোনো ফেডারেশনকে বাদ দেবার অনুমতি ফিফার নেই। ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসনের কারণে বিশ্বকাপের প্লে-অফ থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করেছিল ফিফা। প্লে-অফে রাশিয়ার বিপক্ষে খেলতে রাজি হয়নি পোল্যান্ড।