নারী এশিয়া কাপের শিরোপার লড়াইয়ের দৌড়ে টিকে থাকার মিশনে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৯ রান। হাতে ছিল ৫টি উইকেট। সব সমীকরণে ফাইনালের পথটা সুগম ছিল পাকিস্তানের। সে সমীকরণটা শেষ পর্যন্ত মেলানো সম্ভব হয়নি নিদা দার ও আয়েশা নাসিমের পক্ষে।
শেষ ওভারে বল হাতে আসেন আচিনি কুলাসুরিয়া। ওভারের প্রথম ৪ বলে ৫ রান দেন লঙ্কান এই বোলার। সে সময় জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ২ বলে ৪ রান।
পরের বলে লেগ বাইয়ের সুবাদে ১ রান পায় পাকিস্তান। ফাইনাল নিশ্চিতে প্রয়োজন তখন ১ বলে ৩ রান। শেষ বলে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে এক্সট্রা কভার অঞ্চলে ক্যাচ তুলে দেন নিদা। বল আকাশে উঠে গেলেও প্রান্ত বদল করতে থাকেন দুইজন।
ক্যাচটি লঙ্কান ফিল্ডাররা নিতে পারেননি তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে দুই রান নিতে যেয়ে রান আউটের শিকার হন নিদা। স্বপ্নভঙ্গ হয় পাকিস্তানের।
১ রানের নাটকীয় জয় দিয়ে পঞ্চম বারের মতো নারী এশিয়া কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করল লঙ্কানরা। শনিবার ভারতের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মাঠে নামবে শ্রীলঙ্কা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় শ্রীলঙ্কার। দলীয় ২৩ রানে অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তুর সাজঘরে ফেরার পর বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তোলার চেষ্টা চালিয়ে যান হারিসস্থা, নিলাকাসি ডি সিলভা, আনুষ্কা সঞ্জিবানি। তিনজন মিলে স্কোরবোর্ডে তোলেন ৮৯ রান।
এরপর পাকিস্তানের বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারেননি লঙ্কান কোনো ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তানের সামনে ১২২ রানের পুঁজি দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই ৩ রান তোলে পাকিস্তান। ১০ বলে ১৮ করা মুনিবা আলিকে সাজঘরের পথে দেখিয়ে ব্রেক থ্রু আনে শ্রীলঙ্কা। আরেক ওপেনার সিদ্রা আমিন ফেরেন ৯ রানে।
এরপর অধিনায়ক বিসমাহ মাহরুফের ৪১ বলে ৪২ রানের সুবাদে জয়ের দিকে এক পা দিয়ে রাখে পাকিস্তান।
১৮তম ওভারে কাভিসা কুমারির শিকার বনে বিসমাহ ফিরলেও নিদা ও আয়েশার ব্যাটে জয়ের পথে ছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষ ওভারে ৯ রানের সমীকরণ মেলাতে না পেরে ১ রানের হার নিয়ে এশিয়া কাপের মিশন শেষ করতে হয় পাকিস্তানকে।