পাকিস্তানকে তাদের মাটিতে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ খেলতে এসেছে ইংল্যান্ড। অন্যদিকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২ ম্যাচ সিরিজে হারানো অস্ট্রেলিয়াও ছিল আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। দুই হেভিওয়েটের জমজমাট লড়াইয়ে ইংল্যান্ড জিতেছে ৮ রানে।
পার্থে ৩ ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডের করা ৬ উইকেটে ২০৮ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ২০০ রানের বেশি করতে পারেনি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ফলে, সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
নিজ মাঠে টস জিতে ইংল্যান্ডেকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। দুই ওপেনার অ্যালেক্স হেইলস ও জস বাটলারের ব্যাটে দুর্দান্ত শুরু করে সফরকারী দল।
১১.১ ওভারে ১৩২ রানের জুটি গড়েন দুইজন। ৩২ বলে ৪ ছক্কায় ৬৮ রান করে আউট হন বাটলার। আর হেইলসের ব্যাট থেকে আসে ৫১ বলে ৩ ছক্কায় ৮৪।
ভালো শুরুর পর অবশ্য খেই হারিয়ে ফেলে ইংলিশরা। দ্রুত বেন স্টোকস, মঈন আলী ও স্যাম কারেনকে আউট করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।
শেষ পর্যন্ত ক্রিস ওকসের ৫ বলে ১৩ ও হ্যারি ব্রুকসের ১০ বলে ১২ রানের ক্যমিওতে ২০০ ছাড়ায় ইংল্যান্ডের সংগ্রহ।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে নেইথান এলিস ২০ রানে ৩ উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন কেইন রিচার্ডসন, ড্যানিয়েল স্যামস ও মার্কাস স্টয়নিস।
বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতে ক্যামেরন গ্রিনকে হারায় অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় উইকেটে পরিস্থিতি সামাল দেন ডেভিড ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ।
২৬ বলে ৩৬ রান করে আউট হন মার্শ। অধিনায়ক ফিঞ্চের ব্যাট থেকে আসে ৭ বলে ১২। ৪৪ বলে ৭৩ রান করে আউট হন ওয়ার্নার। তার ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা।
স্টয়নিস ও ম্যাথিউ ওয়েডের মারমুখী ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহের কাছাকাছি পৌঁছায় অস্ট্রেলিয়া। তবে, শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে টপকাতে পারেনি তারা।
স্টয়নিস ১৫ বলে ৩৫ আর ওয়েড সমান বল খেলে ২১ রান করে। ইনিংসের শেষ ওভারে ওয়েড ও এলিসকে আউট করে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন মার্ক উড।
৩৪ রানে ৩ উইকেট নেন এ ফাস্ট বোলার। ২টি করে উইকেট নেন রিস টপলি ও স্যাম কারেন। ম্যাচসেরা হন বাটলার।
দুই দলের পরের ম্যাচ বুধবার ক্যানবেরায়।