টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে পাওয়ার হিটিংয়ের পাশাপাশি মানসিকভাবে শক্ত থেকে ম্যাচের পুরোটা সময় খেলতে হয়। কোনো একটা ওভার খারাপ গেলে তাতে মানসিকভাবে ভেঙ্গে না পড়ে ধৈর্য্যের সঙ্গে সুযোগমতো পুষিয়ে নিতে হয়।
তবে বাংলাদেশ জাতীয় দলের প্রেক্ষাপটে দৃশ্যপট সম্পূর্ণই ভিন্ন। পাওয়ার হিটিংয়ের অভাবের পাশাপাশি ক্রিকেটারদের মানসিকভাবেও বেশ দুর্বলতার দৃষ্টান্ত খালি চোখেই দেখা যায়।
কোনো ওভারে প্রয়োজনমতো পারফর্ম করতে না পারলে ক্রিকেটাররা যেই চাপে পড়েন, সেখান থেকে বেরিয়ে আসা আর হয়ে ওঠেনা ক্রিকেটারদের পক্ষে। আর পাওয়ার হিটিংয়ের পাশপাশি এই বিষয়টি যে বাংলাদেশ দলের ভোগান্তির আরেক কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটি প্রায় সময়ই বলে থাকেন ক্রিকেট বিশ্লেষকরা।
একই সুরে গান গাইলেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। টি-টোয়েন্টিতে উন্নতি করতে হলে টেকনিক্যাল দিকের চেয়ে মানসিক দিকে শক্ত হওয়া বেশি জরুরি বলে মন্তব্য করেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
শনিবার হোম অফ ক্রিকেট মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এমনটাই জানান বোর্ডের এই পরিচালক।
সুজন বলেন, ‘আমার মনে হয় এটা মাইন্ড সেট। আমরা যে এক রিসিভ ক্রিকেট খেলার কথা বলি সেই মাইন্ড সেটটা করতে হবে। এই বীজটা আসলে শুধু পাঁচজন বা ছয় জনের মধ্যে ফেললে হবে না। সবার মধ্যেই থাকতে হবে।’
‘তবে আমরা যেহেতু বিশ্বকাপ পর্যন্ত অন্য কোন ফরমেটে খেলব না তাই আমাদের জন্য এটা একটা সুযোগ এই বীজটা এখনই তাদের ছেলেদের মধ্যে দেয়ার। আমি বলছি সবাই যেন সবার দায়িত্বটা বুঝে, কার কখন কি করতে হবে’, তিনি যোগ করেন।
বিশ্বকাপ, এশিয়া কাপ ও ত্রিদেশীয় সিরিজসহ বাংলাদেশের আগামী ডিসেম্বরের আগে যে কয়টি সিরিজ ও টুর্নামেন্ট আছে, সবগুলোই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। টি-টোয়েন্টির মতো ক্রিকেটের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে মানসিক দিকগুলো নিয়ে দ্রুত কাজ করা জরুরি বলে মনে করছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। হাতে সময় বেশি না থাকলেও ধীরে ধীরে হলেও উন্নতি চান তিনি।
সুজন বলেন, ‘সামনে আমাদের তিনটি ট্যুর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। আমাদের আসলে ওই মাইন্ড সেটটাই তৈরি করতে হবে। কারণ এই ফরম্যাটে যে স্পিড, সেই স্পিডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলাটা খুব কঠিন। তাই আমার মনে হয় টেকনিক্যাল চেঞ্জ এর চাইতে মানসিক পরিবর্তনগুলো বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদেরকে ছোট ছোট ডেভলপমেন্টের দিকে চিন্তা করতে হবে।’