টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে জয়ের সুবাদে বাংলাদেশ ক্লিন সুইপ এড়িয়েছিল। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজে এসে সেই শঙ্কা জেগে উঠেছে বাংলাদেশের। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে ৩০৩ ও ২৯০ রান করেও জয়ের দেখা মেলেনি লাল সবুজের প্রতিনিধিদের।
তৃতীয় ম্যাচে এসে তাদের সংগ্রহ আরও কমে দাঁড়িয়েছে ২৫৬ রানে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে জিম্বাবুয়ের সামনে ২৫৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।
হারারে স্পোর্টিং ক্লাবে শেষ ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দ্রুতগতিতে শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল বিজয়।
৮ ওভারে ৪১ রানের জুটি গড়েন দুইজন। নবম ওভারের প্রথম বলে রান আউটের শিকার হয়ে ফেরেন তামিম। টাইগার অধিনায়কের ব্যাট থেকে আসে ৩০ বলে ১৯ রান।
পরের ওভারে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দশম ওভারের প্রথম বলে ব্র্যাড ইভানসের ডেলিভারিতে আউট হন নাজমুল হোসেন শান্ত। শূন্য রানে ফেরেন তিনি।
এর তিন বল পরই রানের খাতা খোলার আগে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম।
দ্রুত তিন উইকেট পতনের ধাক্কা সামাল নিয়ে দলকে টেনে তোলার মিশনে নামেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও এনামুল বিজয়। দুইজন ৭৭ রানের জুটি গড়ে খাদের কিনারা থেকে ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে।
দলীয় ১২৪ রানে বিজয়ের বিদায়ে ভাঙে সেই প্রতিরোধ গড়া জুটি। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৭১ বলে ৭৬ রান।
সঙ্গীর বিদায়ে বিচলিত না হয়ে লড়াই চালিয়ে যান রিয়াদ। সঙ্গে নেন আফিফ হোসেনকে।
ব্যক্তিগত ৩৯ রানে রিচার্ড এনগারাভার শিকার হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়াদকে। তার বিদায়ের মধ্য দিয়ে ১৭৩ রানে পতন ঘটে টাইগারদের পঞ্চম উইকেটের।
উইকেটের অপরপ্রান্ত থেকে খুব একটা সাড়া না পাওয়ায় একা লড়াই চালিয়ে যান আফিফ হোসেন। তার অনবদ্য ৮১ বলে ৮৫ রানের ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ আড়াই শ ছাড়ায় সফরকারী দল।
শেষ পর্যন্ত আফিফের অপরাজিত ৮৫ রানের সুবাদে ৯ উইকেটের খরচায় জিম্বাবুয়ের সামনে ২৫৭ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।