একটা কথা প্রায় সময়ই শোনা যায় যে, জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা চাপ নিয়ে খেলতে পারেন না। খেলোয়াড়দের অনেকেই স্বীকার করেছেন এ কথা।
সবচেয়ে বেশি চাপ হয় তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য। তাদের রীতিমতো যুদ্ধ করে টিকে থাকতে হয় জাতীয় দলে। যে ভালো খেলবে সেই টিকে থাকবে আর খারাপ খেলার খেসারতে অনেককে ঝরেও পড়তে হয়।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তারুণ্যনির্ভর দল সাজিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। আর সেই সিরিজে তরুণদের চাপ না দিয়ে স্বাধীনভাবে ক্রিকেট খেলার সুযোগ দেয়া হবে বলে মনে করেন জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন। একইসঙ্গে পুরো দলকে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার আহ্বান জানান তিনি।
সুজন সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আপনি একটা জিনিস করতে পারেন স্বাধীনভাবে ক্রিকেট খেলা। যদি ১৫০ এর বেশি স্কোর নিয়মিত করতে পারলে ও এরপর ভালো বোলিং, ফিল্ডিং করলে ম্যাচ জিতবেন। ১৫০ করাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে আমাদের জন্য। আমরা খেলোয়াড়দের মাথায় এটা ঢোকাতে চাই যে দুই-তিনজন ভয়ডরহীন খেললে হবে না। পুরো দলকেই ভয়ডরহীন খেলতে হবে, বোধ বুদ্ধি দিয়ে খেলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তরুণদের তো সুযোগ দিতে হবে। এতো দিন যেহেতু সিনিয়র প্লেয়াররা খেলেছে, জুনিয়ররা সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিল না। পজিশন অনুসারে ব্যাট করতে পারছিল না। ওভার কমে গেলে একজন নেমে গেছে তাড়াতাড়ি। আমরা চাই এগুলো থেকে ওদের একটা স্বাধীনতা দিতে, সুযোগ দিতে। দেখা যাক তারা কি করে।’
পাওয়ার হিটারের অভাবে বাংলাদেশ ভালো খেলছি না টি-টোয়েন্টিতে এটি বেশ কয়েকবারই শোনা গেছে জাতীয় দলের ক্রিকেটার থেকে শুরু করে কোচদের কাছ থেকে। তাদের সেই ধারণা সিরিজের আগ মুহূর্তে বদলে দিলেন সাবেক এই ক্রিকেটার।
সুজনের মতে টি-টোয়েন্টি ছক্কা মারার খেলা না। বুদ্ধির খেলা। একই সঙ্গে বড় ছক্কা হাঁকানোর মতো ক্রিকেটার বাংলাদেশে নেই এ কথা পুরোই উড়িয়ে দেন তিনি।
সুজন বলেন, ‘অনেকে বলে আমরা ছক্কা মারতে পারি না। আমি একদমই বিশ্বাস করি না কথাটা। অনেক খেলোয়াড় বড় বড় ছক্কা মারতে পারে। এটা আসলে ৬ মারার খেলা না। বুদ্ধির খেলা। আর সাহস। সাহস ছাড়া কোনো কিছুই নাই।’