ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে প্রথম দুটিতে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে এক ম্যাচ বাকি রেখে সিরিজ নিজেদের করেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে জয়ের অন্যতম সেরা নায়ক বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। প্রথম ম্যাচে ৮ ওভার বোলিং করে ১৬ রান খরচায় ৩ মেডেন ওভার পেলেও কোনো উইকেট পাননি তিনি। দ্বিতীয়টিতে ৩ উইকেট তুলে নেন ১৯ রান দিয়ে।
প্রথম ম্যাচে বোলিং গড় ২.০০ অপরদিকে দ্বিতীয়টিতে ১.৯০ গড়ে বল করেন তিনি। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ম্যাচ সেরার পুরস্কারটিও পান এ স্পিনার।
টি-টোয়েন্টিতে নাসুমের অভিষেক হয়েছে আগে। ২২ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন ২৮টি উইকেট। আর এক দিনের আন্তর্জাতিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নাসুমের অভিষেক হয়েছে চলতি সিরিজে।
তবে নাসুম মনে করছেন ওয়ানডে অভিষেক তার জন্য কঠিন ছিল না। কেননা তিনি টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে দুই ফরম্যাটের পাওয়ার প্লেতে খেলতেন বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে।
তিনি বৃহস্পতিবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি সব সময় পাওয়ার প্লেতে (টি-টোয়েন্টিতে) বোলিং করতাম। অভিষেক ওয়ানডেতেও আমি পাওয়ার প্লেতে বোলিং করতে এসেছিলাম। আমার কাছে দুই ফরম্যাট একই রকম মনে হয়েছে।’
‘আমার প্রথম পরিকল্পনা থাকে বল ডট বল করা। কারণ আমি বেশির ভাগ সময় পাওয়ার প্লেতে বল করি। আমার গেম প্ল্যান থাকে, বিপক্ষ দলের রানের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করা।’
প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত বল করার পরও উইকেটের দেখা পাননি নাসুম। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের খোলস ভাঙতে গিয়ে ভুল করেছেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটাররা। যে কারণে উইকেট পেতে সুবিধা হয়েছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
তিনি বলেন,‘আমি উইকেট পেয়েছি সে কারণে দারুণ লাগছিল। আমার নিজের প্রথম ম্যাচে উইকেট নিতে না পেরে কিছুটা হতাশ ছিলাম। কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট নিয়েছি।’
দুই সিনিয়র স্পিনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের জায়গায় একাদশে এসে দারুণ পারফরম্যান্সের পর স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাস চূড়ায় থাকবে ২৭ বছর বয়সী নাসুমের। শনিবার সিরিজের শেষ ম্যাচেও দলকে ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে সফর শেষ করতে চান তিনি।