প্রথম ম্যাচে কঠিন পরীক্ষা দিয়ে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছে সফরকারী নিউজিল্যান্ড। ৩০০ রান তাড়া করতে নেমে শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১ উইকেটে জয় পায় কিউইরা। তবে দ্বিতীয়টি জিতে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড।
আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের দ্য ভিলেজ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পায় স্বাগতিকরা। আইরিশদের করা ২১৬ রানের জবাবে ৩৮ ওভার ১ বলে ৩ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কিউইরা।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপদে পড়ে আয়ারল্যান্ড। দলীয় ৫ রানে দুই ওপেনারকে হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়ে আইরিশরা। এর পরও বড় জুটি গড়তে না পারায় ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন মিডল-অর্ডারে জর্জ ডকরেল। তার ৬১ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ভর করেই ২০০ রান পার করে আয়ারল্যান্ড। এ ছাড়া অ্যান্ডি ম্যাকব্রেইন ৪৮ বল খেলে ২৮ রান, মার্ক অ্যাডিয়ারের অপরাজিত ১৫ বলে ২৭ রান এবং ৫৬ বলে ২৫ রান করেন কার্টিস ক্যাম্পার।
নিয়মিত ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মিছিলে শেষ পর্যন্ত ৪৮ ওভারে ২১৬ রান করে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড।
নিউজিলান্ডের পক্ষে ম্যাট হেনরি, মিচেল ব্রেসওয়েল এবং মিচেল সান্তনার প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। জ্যাকব ডাফি এবং গ্লেন ফিলিপস তুলে নেন একটি করে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে আইরিশদের থেকেও বড় বিপদে পড়ে কিউইরা। দলীয় শূন্য রানে প্রথম দুই বলেই দুই উইকেট হারায় সফরকারীরা। মার্ক অ্যাডিয়ের হ্যাটট্রিকের বলটি সতর্কতার সঙ্গে খেলেন লাথাম। যে কারণে তিনি অ্যাডিয়র বঞ্ছিত হন হ্যাটট্রিক থেকে।
এমন দুর্দশা থেকে দলকে টেনে তোলেন ফিন অ্যালেন ও টম লাথাম। এ দুজনের জুটিতে গড়েন ১০১ রান। জুটি ভেঙে ৫৮ বলে ৬০ রান করে আউট হন ফিন অ্যালেন। টম লাথাম ফেরেন ৭৩ বলে ৫৫ রান করে।
হেনরি নিকোলস ২৭ বলে ১৭ রান করে রান আউট হন। পরে গ্লেন ফিলিপস খেলেন ১৬ বলেন ১৬ রানের একটি ইনিংস। এ ছাড়া ৪০ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থেকে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন কিউই ব্যাটার ব্রেসওয়েল।
তবে ব্রেসওয়েলকে সঙ্গ দিতে নেমে মিচেল সান্তনা ১১ বলে ৬ রান করে আউট হলে আরেক ব্যাটার ম্যাট হেনরি ৩ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আয়ারল্যান্ডের পক্ষে মার্ক অ্যাডায়ার ও সিমি সিং ২টি উইকেট শিকার করেন। ক্রেগ ইয়াং ও কার্টিস ক্যাম্পার পান একটি করে উইকেট।