১৯৪৮ সালে স্বাধীনতার পর সবচেয়ে কঠিন সংকটের মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। ভয়াবহ মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানিসংকট, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি ও আকাশ-ছোঁয়া দাম, লোডশেডিং সমস্যায় বিধ্বস্ত লঙ্কানরা। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে বিধ্বস্ত দ্বীপ রাষ্ট্রটি।
চলমান এ অস্থিরতা ক্রমেই বেড়ে চলছে। দেশটির রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে করা হয়েছে হামলা। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বাড়িতে দেয়া হয়েছে আগুন। চাপের মুখে দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে পদত্যাগ করছেন।
এমন পরিস্তিতে এশিয়ার সর্ববৃহৎ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপের ১৫তম আসরের আয়োজক দেশ শ্রীলঙ্কা। ২০২১ সালে আয়োজনের কথা থাকলেও করোনাভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরে শ্রীলঙ্কায় শুরু হয় চলমান রাজনৈতিক এ অস্থিরতা।
এর আগেও পরিস্থিতি এমন শোচনীয় হলে, শুরু হয় শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপের আয়োজন নিয়ে বিতর্ক। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) থেকে আয়োজনের বিষয়ে আলটিমেটামও দেয়া হয় শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট বোর্ডকে (এসএলসি)।
পরে তারা জানায়, যত সমস্যাই থাকুক না কেন, আগামী এশিয়া কাপ শ্রীলঙ্কা মাটিতেই হবে। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি আবারও খারাপ হওয়ায় নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে নিরাপত্তা নিয়ে।
শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সচিব মোহন ডি' সিলভা এখনো আশাবাদী। সঙ্কটের মধ্যেও এশিয়া কাপ আয়োজন করতে পারবেন তারা। ভারতীয় গণমাধ্যম ক্রিকবাজকে তিনি বলেন, ‘আমরা এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) ওপর ছেড়ে দিয়েছি। এসিসির সভাপতি জয় শাহকে আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি। আমাদের বোর্ড সভাপতি শাম্মি সিলভা বিষয়টি অবহিত করেছেন।’
এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ছাড়াও খেলবে শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান। এশিয়ার অন্য দল, যেমন সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, হংকং-এর মধ্যে কারা খেলবে, বাছাইপর্বের টুর্নামেন্টের পরে সিদ্ধান্ত হবে।
টুর্নামেন্টের সময়সূচি চূড়ান্ত হয়নি। তবে সম্ভাব্য তারিখ ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর।