ঢাকা টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড নিলেও সাকিব আল হাসানের স্পিন ঘুর্ণিতে সেটি বড় করতে সক্ষম হয়নি শ্রীলঙ্কা। চতুর্থ দিন শেষ সেশনে এসে ৫০৬ রানে অল আউট হয় সফরকারীরা। সেই সুবাদে বাংলাদেশের সামনে লিড দাঁড়ায় ১৪১ রানের।
তৃতীয় দিন দুই উইকেট নেয়ার পর চতুর্থ দিনে এসে সাকিব নেন আরও তিন উইকেট।
টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার ১৯তম পাঁচ উইকেট শিকার। ১ হাজার ৪১৫ দিন পরে ৫ উইকেটের দেখে পেলেন বাঁহাতি এ স্পিনার। সবশেষ ২০১৮ সালের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ইনিংসে পাঁচ উইকেটের দেখা পান বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। সেবার সাকিব নেন ৬ উইকেট।
৫ উইকেটে ২৮৫ রান নিয়ে বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিন শুরু করেন দুই লঙ্কান ব্যাটার দিনেশ চান্ডিমাল ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। টানা দুই সেশন ব্যাট করেন তারা। বাংলাদেশি বোলারদের পাত্তা না দিয়ে দুজনই তুলে নেন সেঞ্চুরি।
আগে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৫৮ রান নিয়ে শুরু করা ম্যাথিউস। সাবেক লঙ্কান অধিনায়কের ধৈর্যশীল ব্যাটে লিডে পৌঁছায় সফরকারী দল। অন্য প্রান্তে চান্ডিমালও ক্যারিয়ারের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নেন।
দুই ব্যাটারকে কোনো ধরনের চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা। সাকিব আল হাসান ছাড়া বাকিরা রানের চাকাও আটকে রাখতে পারেননি। ফলে দুই সেশনে ৫৮ ওভারে ১৭৪ রান যোগ করেন চান্ডিমাল ও ম্যাথিউস। ষষ্ঠ উইকেটে তাদের জুটি দাঁড়ায় ১৯৯ রানের। এর পরই এবাদতের বলে আউট হন চান্ডিমাল।
চা-বিরতি শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে এবাদতকে ড্রাইভ করতে গিয়ে কাভারে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন চান্ডিমাল। তার আগে অভিজ্ঞ এ ব্যাটারের ব্যাট থেকে আসে ১২৪।
এরপর ৯ রান করা ডিকভেলাকে আউট করেন সাকিব আল হাসান। লিটন দাসের হাতে কট বিহাইন্ড হন তিনি।
সাকিব-এবাদতের সামনে দাঁড়াতে ব্যর্থ হন রামেশ মেন্ডিস, প্রাভিন জয়াউইক্রামাও। যার ফলে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ৫০৬ রানের পুঁজি দাঁড় করায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে পাঁচটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান। চারটি উইকেট ঝুলিতে পুরেন এবাদত হোসেন।