বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসের নৌকাটা ডুবে যেতে বসেছিল প্রথম ঘণ্টায়ই। ডুবতে বসা দলের হাল ধরতে মাঠে নামেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেতে ৫ ইনিংস পর অনবদ্য আরেকটি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন লিটন।
ঢাকা টেস্টের শেষ সেশনে ১৪৯ বলে লিটন তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। সবশেষ চট্টগ্রাম টেস্টে ৮৮ রানে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। অবশেষে ঢাকা টেস্টে পেলেন সেই কাঙ্ক্ষিত সেঞ্চুরির দেখা।
লিটনের সঙ্গি মুশফিকও ছুটছেন সেঞ্চুরির দিকে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে ৮৭ রান।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান জয়। কাসুন রাজিথার আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। কিন্তু পরের বলে বোল্ড হয়ে শূন্য রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাকে।
জয়ের উইকেট হারানোর রেশ না কাটতেই মাঠ ছাড়তে হয় তামিম ইকবালকে। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে আশিথা ফার্নান্দোর শিকার হয়ে রানের খাতা খোলার আগে প্যাভিলিয়নের পথ ধরতে হয় এই ওপেনারকে।
ব্যর্থ হন মুমিনুল হকও। ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকার বনে ৯ রানে মাঠ ছাড়েন টেস্ট দলপতি।
এরপর সপ্তম ওভারে পরপর দুই বলে সাকিব ও নাজমুল হোসেন শান্তকে মাঠছাড়া করেন রাজিথা। এর ফলে ২৪ রান তুলতে ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো দলের এমন দুর্দশার সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৭ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তুলে এগিয়ে নেয়ার গুরুভার কাঁধে তুলে নেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম।