শ্রীলঙ্কা সিরিজের জন্য ঘোষিত দল থেকে বাদ পড়েন পেইসার আবু জায়েদ রাহী। নির্বাচকদের যুক্তি ছিল অন্য যারা তাদের নজরে আছেন সে সব বোলারদের চেয়ে রাহীর গতি কম। রাহী ছাড়াও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টের জন্য চার জন পেইসার নির্বাচক প্যানেলের হাতে ছিলেন।
এবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ ও শরীফুল ইসলামের সঙ্গে ছিলেন আনকোরা রেজাউর রহমান। তবে, শরীফুলের চোট দীর্ঘমেয়াদি হওয়ায় কিছুটা বিপাকে পড়েছে টাইগার ক্যাম্প।
আগে থেকে চোটে ছিলেন তাসকিন আহমেদ। আর মুস্তাফিজুর রহমান লাল বলে খেলতে ইচ্ছুক নন। ফলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট ও সামনের মাসে শুরু হওয়া উইন্ডিজ সফরের জন্য সাকুল্যে বিসিবির হাতে আছে তিন জন পেইসার। যার মধ্যে রাজা জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় রয়েছেন।
জাতীয় দলের অধিনায়ক মুমিনুল হকও স্বীকার করে নিলেন এ সংকট। ঢাকা টেস্ট তো বটেই উইন্ডিজের তিন ফরম্যাটের সফরের জন্য পেইস বোলার খুঁজে বের করতে হবে বিসিবিকে। অভিজ্ঞদের মধ্যে বোর্ডের কাছে রয়েছে আবু জায়েদ রাহী ও পেইস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
রাহী আপাতত নির্বাচকদের সুনজরে নেই। আর সাইফউদ্দিন ইনজুরির সঙ্গে লড়াই শেষে ফিরেছেন বটে তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য এখনও সম্পূর্ণ প্রস্তুত নন। ফলে, ঘুরে ফিরে একজনের কথাই আসছে টিম ম্যানেজমেন্টের মাথায়, মুস্তাফিজুর রহমান।
দরকার হলে একরকম জোর করেই ফিজকে টেস্টে খেলাবে বিসিবি। চট্টগ্রাম টেস্ট শেষে মুমিনুলের কথাতেও সে ইঙ্গিত।
অধিনায়ক বলেন, ‘আমি জানি না মুস্তাফিজ কয়টা টেস্ট খেলেছে। আমাদের দেশের কোনো পেইস বোলারই অভিজ্ঞ না। ওর বিষয়ে বোর্ড সিদ্ধান্ত নেবে যে কোন ফরম্যাটে খেলবে। যদি বোর্ড দেয় ডিমান্ড করে তাহলে অবশ্যই (টেস্টে) খেলবে।’
বিশেষ করে উইন্ডিজ সফরে যে মুস্তাফিজুরকে বাংলাদেশের দরকার তা একরকম পরিষ্কার জানালেন অধিনায়ক।
তিনি বলেন, ‘যেটা দেখতে হবে মুস্তাফিজ লাল বলে কতদিন খেলেছে। অনেক কিছু নির্ভর করে। কতদিন খেলছে না খেলছে। আর ফিটনেসের একটা ইস্যু থাকে। যদি ওকে দরকার হয় তাহলে অবশ্যই খেলবে।আমাদের ফ্রণ্টলাইনার দুই পেইসার নাই, শরীফুল ও তাসকিন। যদি প্রয়োজন হবে তবে অবশ্যই মুস্তাফিজ খেলবে।’
ঢাকা টেস্টের পরপরই উইন্ডিজ সফরের জন্য দল ঘোষণা দেবে বিসিবি নির্বাচক প্যানেল।