বেশ কিছুদিন হাসছিল না মুশফিকুর রহিমের ব্যাট। প্রায় ম্যাচে তাকে দৃষ্টিকটু শটে আউট হতে দেখা গেছে। সমালোচকদের তীরে বিদ্ধ হতে হয় জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার ব্যাটারকে।
একটা সময় গুঞ্জন আসতে থাকে যে মুশফিককে অবসরে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে বোর্ডের পক্ষ থেকে। তবে বিসিবি আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে মুখ খোলেনি।
তবে মাঠের বাইরে সমালোচনা থেমে ছিল না। নিজেকে নিয়ে সব সমালোচনার জবাব ব্যাট হাতে ২২ গজে দিলেন মুশফিকুর রহিম। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্টে ফিরলেন রানের ধারায়।
শুধু রানের ধারায় ফিরেই সন্তুষ্ট থাকেননি তিনি। প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে ৫ হাজার রানের ক্লাবে নিজের নাম লেখানোর পাশাপাশি তুলে নিয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের অষ্টম সেঞ্চুরি।
আর এই সেঞ্চুরি করে এইবার সরাসরি সংবাদমাধ্যমের সামনে এলেন মুশফিক। জানিয়ে দিলেন এখনই তিনি ভাবছেন না অবসরের কথা।
মুশফিক বলেন, ‘না আমার এরকম কোনো ইচ্ছে নেই আপাতত। ইচ্ছে বাংলাদেশের জন্য যতটুকু সুযোগ আসবে এবং আমাকে যে যে ফরম্যাটে প্রয়োজন হবে, আমার ফিটনেস ধরে রেখে ততদিন ভাল করার চেষ্টা করব।’
ম্যাচ শেষে সতীর্থরা কেক কেটে মুশফিকের ৫ হাজারি ক্লাবে নাম লেখানোর বিষয়টি উদযাপন করেছেন। এ সময় তিনি দলের সবচেয়ে কনিষ্ঠ ক্রিকেটার মাহমুদুল হাসান জয়কে কেক খাইয়ে দিয়ে তাকে আরও ভালো করতে উৎসাহিত করেন।
মুশফিক বেশ আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ‘বাংলাদেশে আসলে অভিজ্ঞতার দাম নেই। ১৭ বছর যে কাটিয়েছি এটাই অনেক বড় ব্যাপার। সামনে আল্লাহপাক আমার জন্য যা রেখেছেন ততটুক ভালভাবে খেলতে চাই। আমি আজ ৫০০০ রানের জন্য কেক কেটে ড্রেসিংরুমে যে উদযাপন করছিলাম তখন জয়কে প্রথম কে খাইয়ে বলেছি যে সে এখান সবচেয়ে কনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান। তার সম্ভাবনা আছে ১০ হাজার রান করার। আমি আশাকরি ও সেদিন নতুন কাউকে এরকম কেক খাইয়ে দিবে।’
প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার করা ৩৯৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে সবগুলো উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তোলে ৪৬৫ রান। সেই সুবাদে স্বাগতিকরা লিড পায় ৬৮ রানের। সেই লিডের জবাবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে ৩৯ রানেই দুই উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা।