চট্টগ্রাম টেস্টে তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয়ের পর মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের ব্যাটে চালকের আসনে তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রানের পুঁজি পেয়েছে টাইগাররা।সফরকারীদের চেয়ে ৭৯ রানে পিছিয়ে রয়েছে স্বাগতিক দল। দিন শেষে ৫৩ রানে অপরাজিত রয়েছেন মুশফিকুর রহিম। ৫৪ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস।
মঙ্গলবার বিনা উইকেটে ৭৬ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করে প্রথম ঘণ্টাতে দলের স্কোরবোর্ডে তামিম-জয় মিলে যোগ করেন ৫৮ রান।
দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তামিম তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৩২তম অর্ধশতক। সঙ্গী জয়ও খেলতে থাকেন দুর্দান্ত। তিনিও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এই দুজনের অনবদ্য ব্যাটিংয়ে বিনা উইকেট হারিয়ে প্রথম সেশনে ১৫৭ রানের পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর পতন ঘটে স্বাগতিকদের প্রথম উইকেটের। দলীয় ১৭২ রানে আতিশা ফার্নান্দোর শিকার বনে সাজঘরে ফিরতে হয় ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়কে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৮ রান।
সঙ্গীর বিদায়ের শোকে ভেঙে পড়েননি তামিম। তুলে নেন ক্যারিয়ারের দশম শতক। সেই সঙ্গে ১৬ ইনিংস পর দেখা মেলে অধরা সেই শতকের।
তামিম শতক পার করলেও ব্যাট হাতে আরও একবার হতাশাকে সঙ্গী করে মাঠ ছাড়তে হয় নাজমুল হোসেন শান্তকে। মাত্র ১ রান করে বিশ্ব ফার্নান্দোর কনকাশন বদলি কাসুন রাজিথার শিকার বনে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
ব্যর্থতার বেড়াজাল ছিঁড়ে বের হতে ব্যর্থ হন অধিনায়ক মুমিনুল হকও। ২ রানে মাঠ ছাড়তে হয় তাকেও।
চা বিরতির ঠিক আগ মুহূর্তে কবজিতে আঘাত পান তামিম ইকবাল। ফলে বিরতির পর আর মাঠে নামা হয়নি তার। আঘাত পাওয়ার আগ পর্যন্ত তামিমের ব্যাট থেকে আসে ১৩৩ রান। চা বিরতির পর তামিমের পরিবর্তে মুশি মাঠে নামেন লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে।
এরপর দুইজনে মিলে জুটি গড়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন এই দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। অর্ধশতক তুলে নিয়ে দলকে নিয়ে যান লিডের দিকে। দিনশেষে এই দুইজনের কল্যাণে ৩১৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।