সাগরিকা টেস্টের প্রথম দিনে ৪ উইকেট হারালেও চালকের আসনে থেকে দিন শেষ করেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম দিন শেষে ২৫৮ রানের পুঁজি পেয়েছে সফরকারী দল। ১১৪ রানে অপরাজিত রয়েছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ৩৪ রানে তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন দিনেশ চান্ডিমাল।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের শুরুতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন দুই লঙ্কান ওপেনার; দিমুথ করুনারত্নে ও ওশাদা ফার্নান্দো। দুই স্বাগতিক পেইসার খালেদ আহমেদ ও শরীফুল ইসলাম উইকেট থেকে মুভমেন্ট পেলেও লঙ্কানরা নির্বিঘ্নে রানের চাকা সচল রাখেন।
ওপেনিং জুটি বড় হওয়ার আগে সফরকারীদের শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার নাঈম হাসান। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে তুলে নেন সফরকারী দলের অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নের উইকেট। ৯ রান করে বিদায় নেন তিনি। ২৩ রানে পতন ঘটে লঙ্কানদের প্রথম উইকেটের।
এরপর ২২তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নাঈমের কুইকারে বিভ্রান্ত হয়ে কট বাহাইন্ড হন ওশাদা। ৩৬ রান করে ডিআরএসের মাধ্যমে আউট হন তিনি। ৬৬ রানে সফরকারীদের দুই ওপেনার সাজঘরে ফেরে।
উইকেটে টিকে থেকে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও কুশল মেন্ডিস। এই দুইজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে চাপ সৃষ্টি হয় স্বাগতিকদের ওপর। চা বিরতিতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত তাদের কল্যাণে স্কোর বোর্ডে রান আসে ২ উইকেটের খরচায় ১৫৮।
বিরতি থেকে ফিরে লঙ্কা শিবিরে আঘাত হানেন তাইজুল ইসলাম। মিড উইকেটে নাঈম হাসানের হাতে ধরা দিয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য করেন কুশল মেন্ডিসকে। মাঠ ছাড়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। এতে করে ১৫৮ রানে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে শ্রীলঙ্কার।
তৃতীয় সেশনে বাংলাদেশকে চতুর্থ উইকেট এনে দেন সাকিব আল হাসান। ব্যক্তিগত একাদশতম ওভারে সাকিবের শিকার হয়ে ফিরতে হয় ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে। মাত্র ৬ রানে মাহমুদুল হাসান জয়ের হাতে ধরা দিয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয় লঙ্কান এই ব্যাটারকে। এখন পর্যন্ত লঙ্কানদের চার উইকেটের সবকয়টি গেছে স্পিনারদের ঝুলিতে।
এরপর আর কোনো বিপদ ঘটতে দেননি ম্যাথিউস। ক্যারিয়ারের দ্বাদশ সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পাশাপাশি দলকে নিয়ে যান সুবিধাজনক অবস্থানে। তাকে সঙ্গ দেন চান্ডিমাল। শেষপর্যন্ত আর কোনো উইকেট না হারিয়ে ২৫৮ রান তুলে দিন শেষ করে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নেন নাঈম হাসান। একটি করে উইকেট যায় সাকিব ও তাইজুলের ঝুলিতে।