জাতীয় দলের পেইস বোলিং কোচ হিসেবে শুরুটা বেশ দুর্দান্ত ছিল প্রোটিয়া কিংবদন্তি অ্যালান ডনাল্ডের। তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, এবাদত হোসেনদের নিয়ে নিজ দেশের বিপক্ষে কাটিয়েছেন দুর্দান্ত সময়। টাইগার পেইসারদের দাপুটে বোলিংয়ে দল পায় ওয়ানডে সিরিজ জয়।
ওয়ানডেতে জিতলেও টেস্টে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ধুঁকেছে টাইগার পেইসাররা। স্পিনারদের দাপটের কাছে পেইসাররা ছিলেন নিজেদের ছায়া হয়ে। যদিও উইকেট ছিল পেইসবান্ধব। তারপরও দুই টেস্টে ছিল স্পিনারদের রাজত্ব।
প্রোটিয়া সিরিজ শেষ করে টাইগারদের ঘরের মাঠে এবারে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে পেইসারদের ব্যর্থতার গ্লানি মুছে লঙ্কা সিরিজে সফলতা চান টাইগারদের পেইস বোলিং কোচ ডনাল্ড।
সেজন্য প্রেক্ষিতে ছক কষা শুরু করে দিয়েছেন প্রোটিয়া এই কোচ। বল হাতে নিজেদের প্রথম ৩০ ওভার কাজে লাগাতে চান তিনি। নতুন বলের সুবিধা পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে লঙ্কান ব্যাটারদের চেপে ধরতে চান তিনি।
ডনাল্ড বলেন, ‘প্রথম ৩০ ওভারে আমাদের সেরাটা দিতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে বলের কন্ডিশন। বল ঘেমে যায় ও ভেজা থাকে। উপমহাদেশে সাধারণত এমন হয়। বল পুরানো হয়ে গেলে, রিভার্স সুইং হতে হবে। এটি ধাপে ধাপে এগোনোর একটি প্রক্রিয়া।’
নিজের কোচিংয়ের কৌশল নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার কোচিংয়ের পদ্ধতি হচ্ছে মানসিকতা, মনোভাব ও সৃজনশীলতা। ক্রিকেটের এ পর্যায়ে এ বিষয়গুলো সমান্তরাল ভাবে চলে। প্রতিটি প্রশিক্ষণ সেশনে চাপ তৈরি করতে হয়। তাসকিন আক্রমণের নেতৃত্বে ফিরে আসলে আমরা দেখব যে সে কতটা ক্ষুধার্ত।’