আট বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদানের মধ্য দিয়ে ৮৫ ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠককে স্বীকৃতি দিল সরকার।
২০১৬ সালের সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন। একই সঙ্গে সে বছরের ক্রীড়া সংগঠকের পুরস্কার পেয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রিকেট সংগঠক, বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্সের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
পাশপাশি ২০১৩ সালের সেরা ক্রিকেটার হিসেবে পুরস্কার পান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমানে জাতীয় ক্রিকেট দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন।
২০১৫ সালের ক্রিকেট সংগঠকের কোটায় পুরস্কার পান জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার ও বিসিবির বর্তমান পরিচালক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কাজী হাবিবুল বাশার এই পুরস্কারকে নিজের ক্যারিয়ারের সেরা অর্জন হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যে কোনো ক্রীড়াবিদের জন্য এটা একটা স্বপ্নপূরণের মতো বিষয়। এটা অনেক বড় সম্মানের, অনেক বড় গর্বের একটি বিষয়। অবশ্যই আপনি আপনার কাজের মাধ্যমে সম্মানিত হতে চাইবেন। আর রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত হওয়াটা অনেক বড় বিষয়। আমি মনে করি আমার জন্য এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন। ডেফিনেটলি আমি অনেক অনেক খুশি। এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মানের একটি বিষয়।’
সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠক আহমেদ সাজ্জাদুল আলম বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমি স্মরণ করতে চাই আমার বাবা-মা, যারা আমাকে সবসময় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছিলেন সেই ৪০-৪৫ বছর আগে যখন ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পৃক্ত হই। সে থেকে তারা আমাকে কোনোদিন না করেননি।
‘সবসময়ই বলেছেন, তোমার যেটা ভালো লাগে সেটা করতে থাকো। তবে এতে আমার ইমিডিয়েট ফ্যামিলি যারা রয়েছেন তারা বঞ্চিত হয়েছেন অনেক কিছু থেকে, যেটা তাদের প্রতি আমার করণীয় ছিল। কিন্তু তাতে তাদের কোনো আক্ষেপ নেই। আজকে এই সম্মাননা পাবার পর আমার বিশ্বাস, আমার বাবা-মা যারা ওপারে রয়েছেন তারা এবং আমার ফ্যামিলি মেম্বার যারা রয়েছেন তারা সবাই আনন্দিত।’
সাবেক ক্রিকেটার ও ক্রীড়া সংগঠক মোহাম্মদ জালাল ইউনুস ২০১৬ সালের ক্রীড়া সংগঠক কোটায় পুরস্কৃত হয়েছেন। পুরস্কার পেয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি আমার ৪৫ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে আজ যে স্বীকৃতি পেলাম সেটি ক্রিকেটের জন্য কাজ করায় ভবিষ্যতে আমাকে আরও ইন্সপায়ার করবে।’
ক্রীড়া সংগঠক কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, ‘দুই দশকের বেশি সময় ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে আছি, বিশেষ করে ফুটবলের সাথে। এই পুরস্কার অবশ্যই আমাকে অনুপ্রেরণা জোগাবে ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করার জন্য, ক্রীড়াকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’