ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) শনিবার সন্ধ্যার আর্সেনাল-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যাচটি অনেক দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইংলিশ ফুটবলের দুই প্রাক্তণ হেভিওয়েটের লড়াই তো বটেই, এ ম্যাচে নির্ভর করছিল সামনের মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার দৌঁড়ে কে কতদূর এগিয়ে থাকে।
সবকিছু ছাপিয়ে ম্যাচের স্পটলাইট কেড়ে নেন আরেকজন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো। সাবেক এ বিশ্বসেরা তারকা গত সপ্তাহেই সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানকে হারিয়েছেন।সে শোক সামলে মাঠ ফিরে দলকে উপহার দেন দারুণ এক গোল। আর সেটি উৎসর্গ করেন নিজের প্রয়াত সন্তানের উদ্দেশে। সবমিলিয়ে আর্সেনালের স্টেডিয়াম এমিরেটসে ম্যাচের আবহ হয়ে ওঠে আবেগী।
আর্সেনালের বিপক্ষে শুরু থেকে ইউনাইটেডের একাদশে ছিলেন রোনালডো। তার নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আর্সেনালের ভক্তসুহ স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার পঞ্চাশেক দর্শক করতালি দিয়ে তাকে সমবেদনা জানান। রোনালডো পুরো ম্যাচেই এমন সম্ভাষণ পেয়েছেন।
মাঠের লড়াইয়ে অবশ্য এগিয়ে ছিল আর্সেনাল। এদিন ইউনাইটেডের শিবিরে ছিলেন না তাদের সেরা ডিফেন্ডার ও অধিনায়ক হ্যারি ম্যাগুয়্যার। সে সুযোগে শুরু থেকে প্রতিপক্ষের ওপর চড়াও হয় স্বাগতিক দল।
৩ মিনিটেই নুনো তাবারেসের গোলে এগিয়ে যায় আর্সেনাল। আধঘণ্টা পর বুকায়ো সাকার পেনাল্টি গোল গানারদের এনে দেয় ২-০ ব্যবধানের লিড।
ইউনাইটেডকে ম্যাচে ফেরান রোনালডো। ৩৪ মিনিটে তার করা গোলটি ছিল বিশেষ এক মাইলফলক। এ গোলেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে ১০০ গোলের রেকর্ড গড়েন রোনালডো। প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে গড়েন লা লিগা ও ইপিএলে ১০০ গোলের রেকর্ড।
পর্তুগিজ তারকার গোলের পরও ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আর্সেনাল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ইউনাইটেড সুযোগ পায় ম্যাচে ফেরার। ৫৭ মিনিটে পেনাল্টি স্পট থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন ব্রুনো ফার্নান্দেস। আর এর দুই মিনিট পর অফসাইডের দোষে বাতিক হয় রোনালডোর গোল।
অন্যপ্রান্তে, ৭০ মিনিটে গ্রানিট জাকার গোলে ম্যাচ নিজেদের পকেটে পুরে ফেলে আর্সেনাল। শেষ পর্যন্ত ৩-১ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তারা।
এ জয়ে ৩৩ ম্যাচে ৬০ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে আছে আর্সেনাল। পাঁচে থাকা টটেনহ্যাম হটস্পারের সংগ্রহ ৫৭ পয়েন্ট। তারা খেলেছে ৩২ ম্যাচ।
আর্সেনালের কাছে হারের পর ছয়ে থাকা ইউনাইটেডের সংগ্রহ ৩৪ ম্যাচে ৫৪ পয়েন্ট।