সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট বড় ব্যবধানে হারলেও বোলারদের প্রচেষ্টার কমতি ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৩ রানে অলআউট হয়ে যাওয়া যেমন ব্যাটারদের ব্যর্থতার পরিচায়ক তেমনি স্বাগতিকদের দুইবার অলআউট করে বোলাররাও কৃতিত্ব দাবি করতে পারেন।
অন্তত বাংলাদেশের বোলিং কোচ অ্যালান ডনাল্ড তেমনটা মনে করেন। তাসকিন-এবাদতদের গুরু ও কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার ডনাল্ডের মতে, নিজেদের পারফরম্যান্সে গর্ব বোধ করতে পারে টাইগার পেইসাররা।
ভারতীয় এক ক্রিকেটসাইটকে ডনাল্ড বলেন, ‘একবার আমাদের মনোযোগ ফিরে পাওয়ার পর আমরা দারুণ বল করেছি। জুটি গড়ে বল করাটা দরকার ছিল। সিমাররা সবাই ভালো করেছে। খালেদ ও এবাদত যেভাবে বল করেছে সেটা দারুণ।’
ডনাল্ডের কাছ থেকে সবচেয়ে বেশি নম্বর পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। ইনজুরির কারণে টি-টোয়েটি বিশ্বকাপ খেলতে না পারা এই পেইসার চলতি বছর রয়েছেন ক্যারিয়ারের সেরা ফর্মে। ডনাল্ডের মতে, তিনিই এখন পেইস অ্যাটাকের নেতা।
তিনি বলেন, ‘তাসকিন সম্বন্ধে যত বলি ততই কম হবে। ওয়ানডেতে যেভাবে সে বোলিংকে নেতৃত্ব দিয়েছে, সে জন্য আমি খুব খুশি। প্রথম টেস্টের সময় তার কাঁধে ব্যথা ছিল, যেটা আস্তে আস্তে বেড়েছে। বাংলাদেশের হয়ে সে তারপরও বোলিং চালিয়ে যেতে চেয়েছে।’
ডারবানে মাত্র চতুর্থবারের মতো দেশের বাইরে এক টেস্টে প্রতিপক্ষের ২০ উইকেট নিয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় টেস্টেও পেইসারদের কাছ থেকে এমন ধারাবাহিকতা চান ডনাল্ড।
তিনি বলেন, ‘আমরা একটা ইউনিট হিসেবে বল করেছি। রান কম দিয়েছি ও গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছি। সিমাররা সারা দিন চাপ ধরে রেখেছে। সেইন্ট জর্জেস পার্কেও (দ্বিতীয় টেস্টের ভেন্যু) একই রকম বল করতে হবে আমাদের।’