ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ঐতিহ্যের ম্যাচে মোহামেডানকে ৬ উইকেটে সহজে হারিয়েছে আবাহনী। মঙ্গলবারের ম্যাচে মোহামেডানের দেয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চার উইকেট হারিয়ে ও ২২ বল অক্ষত রেখে জয় পেয়ে যায় আবাহনী।
মোহামেডানের রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি আবাহনী। প্রথম ১০ ওভারের মধ্যে তারা হারায় ওপেনার নাঈম শেখ ও মুনিম শাহরিয়ারের উইকেট। নাঈম শূন্য রানে রানআউট হন।
আর মুশফিক হাসানের বলে আউট হওয়ার আগে মুনিমের ব্যাট থেকে আসে ৩১। দুই উইকেট হারানোর পর দলকে সামাল দেন হনুমা বিহারি ও জাকির আলি।
দুই জনের ৯৮ রানের জুটিতে জয়ের পথে থাকে আবাহনী। বিহারি ৫৯ ও জাকির ৬০ রান করে আউট হন। লোয়ার অর্ডারে আফিফ হোসেন ও মোসাদ্দেক সৈকতের ব্যাটে সহজ জয় পায় আবাহনী।
৩৮ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থাকেন আফিফ আর ৩৭ বলে ৫২ রান করে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ৩ ওভারের বেশি হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় আবাহনী।
এর আগে, শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে মোহামেডানকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান আবাহনীর অধিনায়ক মোসাদ্দেক সৈকত। ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভারে ২৫৫ রানে অলআউট হয় মোহামেডান।
রনি তালুকদার ও আব্দুল মজিদ দেখেশুনে শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। রনি তালুকদার আরাফাত সানির বলে ফেরেন ৩৪ রান করে। মজিদের ব্যাট থেকে আসে ১৪। তাকে আউট করেন তানজিম সাকিব।
মিডল অর্ডারে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ হাফিজ ও রুবেল মিয়া। এ দুইজনের ১১৫ রানের জুটিতে লড়াকু সংগ্রহের ভিত পায় মোহামেডান। হাফিজ করেন ৭০ রান রুবেলের ব্যাট থেকে আসে ৫১।
এরপর মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ছাড়া আর কেউই ব্যাট হাতে অবদান রাখতে না পারলে বড় সংগ্রহের আশা হারায় মোহামেডান। ৩৭ বলে ৪১ রান করে রানআউট হন রিয়াদ।
শেষ দিকে আরিফুল ইসলাম ১২ আর শুভাগত হোম ১৪ রান করেন। এতে স্কোর আড়াই শ ছাড়ায় সাদা-কালোদের।
আবাহনীর হয়ে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন তানজিম সাকিব। ২টি উইকেট নেন আফিফ হোসেন।