সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে সবার নজর কেড়েছে দুই প্রোটিয়া আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাস ও আড্রিয়ান হোল্ডস্টোকের বাজে আম্পায়ারিং। স্বাগতিকদের দিকে সিদ্ধান্তের পাল্লাটা ভারী ছিল দুই ফিল্ড আম্পায়ারের।
কোভিড মহামারির কারণে ম্যাচে নিরপেক্ষ আম্পায়ার রাখার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে আইসিসি। আর তার ধারাবাহিকতায় সাউথ আফ্রিকা সিরিজেও স্বদেশি আম্পায়ার পায় প্রোটিয়ারা।
বিষয়টি নিয়ে আইসিসির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। এবার সেই সুরে তাল মেলালেন জাতীয় দলের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে শোচনীয় হারের পর সংবাদ সম্মেলনে আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ তোলেন মুমিনুল। নিরপেক্ষ আম্পায়ারের জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেন আইসিসির।
মুমিনুল বলেন, ‘আমি মনে করি এখন আইসিসির নিরপেক্ষ আম্পায়ারের ব্যাপারে চিন্তা করা উচিত। কোভিডের আগে যেমনটা ছিল আরকি। এখন তো আল্লাহর রহমতে কোভিড প্রায় শেষ হওয়ার পথে। নিরপেক্ষ আম্পায়ার দিয়ে দেওয়া উচিত। তা না হলে শুধু এই সিরিজে না, এর আগেও অনেক সিরিজে এমন হয়েছে। আম্পায়াররা অনেক সময় ওই দেশের পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। এগুলো আমরা এই সিরিজেও দেখেছি। আগেও দেখেছি।’
শুধু আম্পায়ারিং নয়, স্লেজিংয়েরও মুখোমুখি হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সেটি অনেক ক্ষেত্রেই ক্রিকেটের অংশ। তবে সফরকারী দলের দাবি, সাউথ আফ্রিকায় সেটি চলে গিয়েছিল নির্যাতনের পর্যায়ে।
মুমিনুল বলেন, ‘স্লেজিং তো হয় মাঠে, এসব স্বাভাবিক। কিন্তু স্লেজিং যখন অ্যাবিউজের কাছে চলে যায়, তখন খারাপ। আমার কাছে মনে হয়েছে ওরা মাঝে মাঝে অ্যাবিউজ করছিল, আম্পায়ারও বিষয়গুলো ওদের পরিষ্কার করেনি।’