কাতার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ইউরোপ অঞ্চলে তুলনামূলকভাবে সহজ গ্রুপে পড়েছিল পর্তুগাল। আয়ারল্যান্ড, সার্বিয়া, লুক্সেমবার্গ ও আজারবাইজানের সমন্বয়ে গড়া গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ক্রিস্টিয়ানো রোনালডোর দল। সার্বিয়ার পেছনে থেকে গ্রুপে দ্বিতীয় সেরা হয় তারা।
ফলে খেলতে হয় বাছাইপর্বে প্লে-অফে। সেখানে প্রথম ম্যাচে রোনালডো গোল না পেলেও তুরস্ককে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্লে-অফের ফাইনালে উঠে আসে পর্তুগাল।
দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল ইতালিকে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করা নর্থ মেসিডোনিয়া। র্যাঙ্কিংয়ে বহু এগিয়ে থাকলেও ম্যাচের আগে রোনালডো দলের সবাইকে সতর্ক থেকে সর্বস্ব উজার করে খেলার আহ্বান জানান।
অধিনায়কের আহ্বান বৃথা যেথে দেয়নি পর্তুগাল। নর্থ মেসিডোনিয়াকে প্লে-অফ ম্যাচে ২-০ গোলে হারিয়ে জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের মূল পর্বে। দলের হয়ে দুটি গোলই করেন ব্রুনো ফার্নান্দেস।
প্লে-অফের শেষ ম্যাচ নিজ মাঠে খেলার সুযোগ পায় পর্তুগাল। পোর্তোর দ্রাগাও স্টেডিয়ামে শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ছিল সাবেক ইউরো জয়ীরা।
ফলটাই পেয়ে যায় হাতেনাতে। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের দুই তারকা রোনালডো-ফার্নান্দেস কম্বিনেশন লিড নেয় তারা।
৩২ মিনিটে রোনালডোর বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোল করেন ফার্নান্দেস। আনন্দে ভাসান পুরো স্টেডিয়ামকে।
ওই এক গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় পর্তুগাল। তবে স্বাগতিক দল নির্ভার হয় ম্যাচের ৬৫ মিনিটে।
এবারে আর রোনালডো নন, লিভারপুলের দিয়োগো জোতার অ্যাসিস্ট থেকে গোল করে মেসিডোনিয়াকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন ফার্নান্দেস।
২-০ গোলে ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপের টিকিট পায় পর্তুগাল। এ নিয়ে মোট ১১ নম্বর মেজর টুর্নামেন্ট খেলতে যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালডো।
২০০৪ ইউরো দিয়ে তার আন্তর্জাতিক বড় মঞ্চে যাত্রা শুরু। এরপর খেলেছেন ২০০৮, ১২, ১৬ ও ২০ সালের ইউরো। জিতেছেন ২০১৬ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ।
সিআর সেভেন বিশ্বকাপে প্রথম খেলেন ২০০৬ সালে। এরপর ২০১০, ২০১৪, ২০১৮ সালে খেলার পর ও এবারে ২০২২ সালের আসরে খেলতে যাচ্ছেন তিনি।
৩৭ বছর বয়সী রোনালডোর জন্য এটিই শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে। আর এ সুযোগের জন্য তিনি ধন্যবাদ জানাতে পারেন ব্রুনো ফার্নান্দেসকে।