সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডেতে চালকের আসনে রয়েছে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে ১টি উইকেট পেলেও, পরে দ্রুত উইকেট তুলে নিতে থাকে টাইগাররা। তাসকিনের তোপে ৩৫ ওভার শেষে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান সংগ্রহ করেছে সাউথ আফ্রিকা।
তৃতীয় ওয়ানডেতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সাউথ আফ্রিকাকে দারুণ শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার। ওভার প্রতি ৭-এর কাছাকাছি রান তুলছিলেন দুজন।
সে ছন্দে ব্যাঘাত ঘটান মেহেদী মিরাজ। ১২ রান করা কুইন্টন ডি কককে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রু দেন বাংলাদেশকে।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে সেঞ্চুরিয়নে ঝড়ো শুরু করেন দুই প্রোটিয়া ওপেনার ইয়ানেমান মালান ও কুইন্টন ডি কক।
৬ ওভারে তারা রান যোগ করেন ৪০। তবে সপ্তম ওভারে বল হাতে হিসাব পালটে দেন মেহেদী মিরাজ।
ওভারের পঞ্চম বলে তাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে মাহমুদুল্লাহর ক্যাচে পরিণত হন অভিজ্ঞ ডি কক। ৮ বলে ১২ রান করেন তিনি।
সঙ্গী হারিয়ে কিছুটা সতর্ক হন মালান। কাইল ভেরেইনকে নিয়ে জুটি বড় করার লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকেন।
১৩তম ওভারে ভেরেইনকে আউট করে সাউথ আফ্রিকাকে দ্বিতীয় ধাক্কা দেন তাসকিন আহমেদ। ৯ রান করা ভেরেইন তাসকিনের বলে বোল্ড হন।
নিজের চতুর্থ ও ইনিংসের ১৫তম ওভারে আবারও আঘাত করেন তাসকিন। বিপজ্জনক হয়ে উঠতে থাকা মালানকে তিনি আউট করেন। মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়ার আগে মালান করেন ৩৯ রান।
জোড়া ধাক্কা সামলে নেয়ার আগে প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত করেন সাকিব আল হাসান। টেম্বা বাভুমাকে ২ রানে এলবিডব্লিউ করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এরপরও স্বাগতিকদের স্বস্তি দেয়নি টাইগাররা। রাসি ফন ডার ডুসেনকে ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান শরীফুল ইসলাম।
তাসকিন তার তৃতীয় উইকেট তুলে নেন ডুয়েইন প্রিটোরিয়াসকে ফিরিয়ে। ২০ রান করে আউট হন এ অলরাউন্ডার।
১৬ রান করা ডেভিড মিলারকেও আউট করেন তাসকিন। আর ৪ রান করা কাগিসো রাবাডাকে আউট করে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেন এ পেইসার।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ম্যাচে ২০১৪ সালে ভারতের বিপক্ষে ইনিংসে ৫ উইকেট পান তাসকিন। এর ৮ বছর পর পেলেন দ্বিতীয় ৫ উইকেট।
সাকিব নেন সাউথ আফ্রিকার নবম উইকেট। লুঙ্গি এনগিডিকে শূন্য রানে ফেরান তিনি।