যে সিরিজে তার খেলা নিয়ে এত নাটক সেটার প্রথম ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় তিনি। ৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের জয়ে অন্যতম ভূমিকা রাখা সাকিব আল হাসান যেন মনে করিয়ে দিলেন কেন তিনি চ্যাম্পিয়ন অফ চ্যাম্পিয়নস।
বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার ম্যাচসেরার পুরস্কার নেয়ার সময় অবশ্য বরাবরের মতো পেশাদার। গত কয়েক সপ্তাহ যে ঝড় বয়ে গেছে তার ওপর সেটা বোঝা গেল না। বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ পোস্টার বয় জানালেন উইকেট বড় রানের উপযুক্ত ছিল। বাংলাদেশ টস হারলেও তাদের নজর ছিল ৩০০ রানে।
সাকিব বলেন, ‘৭-৮ বল খেলার পর আমি বুঝতে পেরেছি যে উইকেটটা ভালো। আমাদের মাথায় ৩০০ রান ছিল। তামিম ও লিটন আমাদের ভাল শুরু এনে দিয়েছে। পুরনো বলে আমাদের ভালো ব্যাট করা দরকার ছিল।’
সাকিবের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন ইয়াসির রাব্বি। ওই জুটিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যায় বড় সংগ্রহের পথে। ম্যাচ শেষে তরুণ এ ব্যাটারের প্রশংসা করলেন সাকিব।
তিনি বলেন, ‘ইয়াসির খুব ভালো ব্যাট করেছে। আমার আর ওর জুটিটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এতে ওর কৃতিত্ব অনেক। ১০ ওভার শেষে বলের শাইন চলে যাওয়ার পর খুব একটা বিপদ ছিল না। আমাদের হিসেব করে ঝুঁকি নিতে হয়েছে। সেটাতে আমরা সফল।’
ঐতিহাসিক এ জয়ের রাতে বাংলাদেশের অধিনায়ক ছিলেন উচ্ছ্বসিত। অধিনায়ক তামিম ইকবাল স্বীকার করলেন প্রোটিয়াদের তাদের মাটিতে হারানোটা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক বড় বিষয়।
তামিম বলেন, ‘এটা বড় জয় আমাদের জন্য। দল যেভাবে খেলেছে তাতে আমি খুবই গর্বিত। ইয়াসির খুব স্পেশাল ইনিংস খেলেছে। ছোট ছোট বিষয়গুলো যেমন, মিরাজ ও মাহমুদুল্লাহর ব্যাট হাতে অবদান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের ফাস্ট বোলাররা ভালো করছে ও ম্যাচ জেতাচ্ছে। এটা দারুণ ব্যাপার। গত দুই বছর আমাদের ফাস্ট বোলাররা দারুণ বল করেছে।’
ম্যাচ জয়ে যেখানে বোলারদের কৃতিত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক, সেখানে সাউথ আফ্রিকান অধিনায়ক দুষছেন তার বোলিং ইউনিটকে। ডেথ ওভারে খরুচে বোলিংয়ের কারণে বের হয়ে গেছে ম্যাচ এমনটা মনে করেন স্বাগতিক অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা।
তিনি বলেন, ‘শেষ ২০ ওভারে ১৮০ রান দেয়াটা ঠিক হয়নি। বোলিং নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে। ২৭০-২৮০ রান হলে তাড়া করতে পারতাম। কিন্তু শেষে ৪০ রান বেশি হয়ে গেছে। ৩০০ রান তাড়ার সময় কোনো একজনকে সেঞ্চুরি করতে হতো ও অন্য কারও সমর্থন প্রয়োজন হতো। ডুসেন ও মিলার থাকার সময়ে আমাদের সুযোগ ছিল।’