সাউথ আফ্রিকার মাটিতে জয় খরাটা কাটানোর সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছে বাংলাদেশ। কাগিসো রাবাদাকে ফিরিয়ে টাইগাররা পতন ঘটিয়েছে প্রোটিয়াদের অষ্টম উইকেটের।
বড় লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দেখেশুনে করে সাউথ আফ্রিকা। রানরেটের দিকে লক্ষ্য রেখে দুই ওপেনারের ব্যাটে বেশ ভালো এগুচ্ছিল স্বাগতিকরা।
ম্যাচের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে প্রোটিয়া শিবিরে আঘাত হানেন পেইসার শরিফুল ইসলাম। তার শর্ট লেন্থের বল ব্যাট ছুঁয়ে যায় ইয়ানেমান মালানের। সেই বল তালুবন্দি করে তাকে মাঠ ছাড়া করেন মুশফিকুর রহিম।
পরে অষ্টম ওভারে ব্যাক টু ব্যাক দুটি উইকেট তুলে নিয়ে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলেন তাসকিন।
প্রোটিয়া ওপেনার কাইল ভেরেইনকে ২১ রানে মাঠছাড়া করার পর রানের খাতা খোলার আগেই তাসকিন দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন এইডেন মারক্রামকে।
৩৬ রানে তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে যখন সাউথ আফ্রিকা অথৈ সাগরে ভাসছিল, সে সময় ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন ফন ডার ডুসেন ও টেম্বা বাভুমা। দুইজনের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় এড়িয়ে লড়াইয়ে ফেরে প্রোটিয়ারা।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ৫৭ বলে ডুসেন তুলে নেন ব্যাক্তিগত অর্ধশতক। দুই জনে মিলে দলের স্কোর ১০০ পার করেন।
এই দুইজনের ৮৫ রানের জুটি ভেঙ্গে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল ইসলাম। উইকেটের পেছনে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে ৩১ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় বাভুমাকে শরিফুলের কল্যাণে।
সঙ্গীর বিদায়ে বিচলিত না হয়ে ডেভিড মিলারকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন ফিকে করার মিশনে নামেন ডুসেন। তবে ৮৬ রানে তাঁকে ফিরিয়ে ম্যাচ নিজেদের দিকে নিয়ে আসেন তাসকিন আহমেদ।
এরপর ব্যাক টু ব্যাক আঘাত হানেন মিরাজ। একে একে ফেরান আন্দিলে ফেলুকোয়েও, মার্কো ইয়ানসেন ও কাগিসো রাবাদাকে। আর তাতেই ম্যাচ থেকে এক প্রকারে ছিটকে যায় সাউথ আফ্রিকা।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সাউথ আফ্রিকার সামনে ৩১৫ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় বাংলাদেশ।
নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩১৪ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান এসেছে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ করে রান আসে লিটন দাস ও ইয়াসির আলি রাব্বির ব্যাট থেকে।