সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভালো শুরুর পর খেই হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ২৯ রান যোগ করতে সফরকারীরা হারিয়েছে তাদের তৃতীয় উইকেট। তামিম-লিটনের পর এবারে মাঠ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহিম।
দিনের শুরুতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে সুপারস্পোর্টস পার্কের সিমিং কন্ডিশনে দুই সাউথ আফ্রিকান পেইসার কাগিসো রাবাডা ও লুঙ্গি এনগিডি শুরু থেকে শর্ট লেংথে বল করেন। দুই পেইসারের গতির সামনে হাত খুলে রান করতে পারেননি তামিম ও লিটন।
বাজে বলে বাউন্দারি বের করার চেষ্টা করলেও সেই সংখ্যাটা ছিল বেশ কম। ব্যাটিং পাওয়ার-প্লের ১০ ওভারে তারা ডট বল দিয়েছেন ৪৫টি। অর্থাৎ মাত্র ১৫টি বলে রান এসেছে।
১৫ ওভারের পর বিধ্বংসীরূপ ধারণ করেন এই দুই ওপেনার। রানের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি চার ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।
দেখেশুনে খেলার এক পর্যায়ে খেই হারিয়ে ফেলেন তামিম ইকবাল। আন্দিলে ফেলুকোয়েওর গুড লেন্থের বল ব্যাকফুটে গিয়ে খেলতে গিয়ে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ে ৪১ করে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
আর তাতেই ভাঙ্গে লিটনকে সঙ্গে নিয়ে করা ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।সঙ্গীর বিদায়ে বিচলিত না হয়ে উইকেট ধরে রেখে সাকিবকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন লিটন। পথিমধ্যে তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের পঞ্চম অর্ধশতক।
৬৬ বলে তুলে নেয়া লিটনের অর্ধশতকে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছক্কার মার।
হাফ সেঞ্চুরি তুলেই কেশভ মহারাজের শিকার হয়ে মাঠ ছাড়েন ডানহাতি এই ওপেনার। যার ফলে স্কোরবোর্ডে ৯ রান যোগ করতে সাজঘরে ফিরতে হল দুই ওপেনারকেই।
এরপর সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু দলকে বেশিদূর টেনে নিয়ে যাওয়া সম্ভপব হয়নি তার পক্ষে। ৯ রান করেই কেশভ মহারাজের দ্বিতীয় শিকার বনে মাঠ ছাড়েন তিনি।