শারীরিক জটিলতা দেখা দেয়ায় সোমবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল জাতীয় দলের স্পিনার মোশাররফ হোসেন রুবেলকে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নেয়া হয় আইসিইউতে।
আইসিইউতে ভর্তির পর জ্ঞান ফিরেছে রুবেলের। তবে এখন পর্যন্ত শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি তার। ফলে আরও দু-তিন দিন আইসিইউতে রাখার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
মূলত রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে ডিহাইড্রেশন ও কিডনির ক্রিয়েটিরিন বেড়ে যাওয়ায় শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল তার। সে কারণেই আইসিইউতে ভর্তি হতে হয়েছে এই ক্রিকেটারকে।
মঙ্গলবার নিউজবাংলাকে এ সব তথ্য জানান মোশাররফ হোসেন রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রূপা চৈতি।
চৈতি বলেন, ‘এখনও আইসিইউতেই ওনাকে (রুবেল) রাখা হয়েছে। গতকাল তো জ্ঞান একেবারেই ছিল না, আজকে চোখ মেলে তাকাচ্ছেন। কিন্তু কোনো রেসপন্স করছেন না। চেন্নাই থেকে অপারেশন করে আসার পর গত এক দেড় মাস যাবত খেতে পারছিলেন না। যার কারণে প্রচুর ডিহাইড্রেশন হয়েছে ও রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণটা বেড়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্রিয়েটিরিনের পরিমাণটাও বেড়ে গেছে। এ কারণেই হঠাৎ করেই অচেতন হয়ে গিয়েছিলেন গতকাল। এখনও সবগুলো টেস্ট করা হয়নি, ব্রেইনে কোনো সমস্যা হল কি না সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না।’
এর আগে ২০১৯ সালে ব্রেন টিউমার ধরা পড়ে রুবেলের। প্রায় দেড় বছরের চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু চলতি বছরের জানুয়ারিতে এমআরআইয়ে জানতে পারেন যে টিউমারটি আবার বাড়তে শুরু করে। তারপর থেকে চলছে কেমোথেরাপি।
এখন পর্যন্ত ২৪টি কেমোথেরাপি নিয়েছেন রুবেল। অক্টোবরে সবশেষ কেমো নিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালের ১৯ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিউরো সার্জন এলভিন হংয়ের তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার হয় রুবেলের।