আশা আরও বাড়িয়ে দিলেন লন্ডনপ্রবাসী বাংলাদেশি স্প্রিন্টার ইমরানুর রহমান। বিশ্ব ইনডোরের প্রস্তুতি হিসেবে লন্ডনের সাটফ্লিকে ৬.৬৮ সেকেন্ডে দৌড়েছেন তিনি। যা চলতি বছরে এশিয়ার তৃতীয় সেরা টাইমিং।
এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিক্স এক বছর পিছিয়ে যাওয়ায় এই আক্ষেপটা করতেই পারেন ইমরান। তবে আশা শেষ হয়ে যাচ্ছে না এখনই। আগামী ১৮ মার্চ থেকে সার্বিয়ার বেলগ্রেডে হতে যাচ্ছে বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিক্স আসর।
একমাত্র বাংলাদেশি স্প্রিন্টার হিসেবে এই বিশ্ব আসরে অংশ নিচ্ছে ইমরান। বর্তমান ফর্ম এশিয়ার তিনে থাকলেও বৈশ্বিক পর্যায়ে তার চ্যালেঞ্জটা একটু বেশিই হবে। তবে আশা ছাড়ছেন না এই অ্যাথলেট।
ইংল্যান্ডের শেফিল্ড থেকে ইমরান এই আসর নিয়ে নিজের লক্ষ্যের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এই টাইমিংয়ে বিশ্ব ইনডোরের সেমিতে খেলার আশা রাখি। আরেকটু ভালো করতে পারলে, ৬.৫ সেকেন্ডে দৌড়াতে পারলে হয়তো ফাইনালেও উঠে যাওয়া সম্ভব। সব কিছুই আসলে নির্ভর করছে সেদিন সবার পারফরম্যান্সের ওপর।’
ইংল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার আশা ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের অ্যাথলেট হিসেবে গত বছরের নভেম্বরে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সে নিজেকে নিবন্ধন করান ইমরান।
এরপরে ঢাকায় এসে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার দৌঁড়ে ২২ বছরের রেকর্ড ভাঙেন এই স্প্রিন্টার।
১০০ মিটার স্প্রিন্টে চ্যাম্পিয়ন হতে সময় নেন ১০.৫০ সেকেন্ড। ইলেকট্রনিক টাইমিংয়ে এটাই দেশের কোনো স্প্রিন্টারের সেরা টাইমিং। ইমরান ভাঙেন ১৯৯৯ সালে প্রয়াত স্প্রিন্টার মাহাবুব আলমের রেকর্ড। তিনি ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ডে সময় নিয়েছিলেন ১০.৫৪ সেকেন্ড।
অবশ্য ইলেকট্রনিক টাইমিংয়ে তার সেরা টাইমিং আরও ভালো। ক্যারিয়ারে ১০.২৭ সেকেন্ড নিয়ে ১০০ মিটার রেস শেষ করেছিলেন এই স্প্রিন্টার। রেকর্ড আপাতত বিবেচনায় রাখলে সাউথ এশিয়ান গেমসের ১০০ মিটারের অলটাইম রেকর্ড থেকে মাত্র .০১ সেকেন্ড কম।
ইমরান এর আগেও ৬.৬৮ সেকেন্ডে দৌড়েছেন। তখন তার নামের পাশে ছিল অবশ্য গ্রেট ব্রিটেন। এখন বাংলাদেশ। তাতেই উঠে এসেছেন এশিয়ান র্যাংকিংয়ের সেরা তিনে।
তার ওপরের দুজনই চীনের। ওয়েইই লু ৬.৫৮ সেকেন্ডে দৌড়েছেন গত ৫ মার্চ নানজিংয়ে। সেখানেই শুয়াং ওয়াং সময় নিয়েছেন ৬.৬৭ সেকেন্ড। বাংলাদেশে প্রথমবার ট্রায়ালে এসে হ্যান্ড টাইমিংয়ে ৬.৪৭ সেকেন্ড সময় নিয়েছিলেন এই ২৮ বছর বয়সী স্প্রিন্টার।
প্রায় দুই বছর হলো নামি ব্রিটিশ কোচ স্টিভ ফাজের অধীনে ট্রেনিং করছেন ইমরান। দেশকে আন্তর্জাতিক আসরে পদক জেতানোর স্বপ্ন এই ক্রীড়াবিদের।