চ্যাম্পিয়নস লিগের তারকা খচিত রাতে ফুটবল দর্শকরা উপভোগ করলেন দারুণ এক কামব্যাক। প্যারিস সেইন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি) বিপক্ষে এক গোলে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়িয়ে অসাধারণ জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ।
প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ১-০ গোলে হারের পর দ্বিতীয় লেগে নিজ মাঠে ৩-১ গোলের জয় দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে রিয়াল। দলের হয়ে সবগুলো গোল করেছেন কারিম বেনজেমা।
রিয়ালের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুয়ে অবশ্য ম্যাচের প্রথমার্ধ দেখে এ ফল অনুমান করা যায়নি। রিয়ালকে শুরুর ৪৫ মিনিট পাত্তাই দেয়নি পিএসজি। মেসি-নেইমার-এমবাপের আক্রমণের তোড়ে ব্যতিব্যস্ত থাকে রিয়ালের রক্ষণভাগ।
৩৯ মিনিটে কিলিয়ান এমবাপের গোলে লিড নেয় তারা। অ্যাগ্রেগেট স্কোর দাঁড়ায় ২-০। সে অবস্থাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধ।
এর অর্থ দাঁড়ায়, শেষ আটে যেতে হলে রিয়ালকে অন্তত ৩ গোল করতে হতো। দ্বিতীয়ার্ধে চমৎকার অ্যাটাকিং ফুটবল খেলে রিয়াল ঠিক সেটাই আদায় করে নেয়।
শুরুটা হয় এক ঘণ্টার মাথায়। কারিম বেনজেমা প্রথমবার নাম তোলেন স্কোরশিটে। পিএসজি গোলকিপার জানলুইজি দোন্নারুম্মার ভুল পাসে বল পেয়ে যান এ ফ্রেঞ্চম্যান। কাছ থেকে লক্ষ্যভেদ করতে ভুল করেননি তিনি।
এর ১৭ মিনিটের মধ্যে আরও দুই গোল করে পিএসজিকে হতভম্ব করে দেয় রিয়াল। ২টি গোলই আসে বেনজেমার পা থেকে।
এতে করে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সে হ্যাটট্রিক করার রেকর্ড গড়েন ৩৪ বছর ৪ মাস বয়সী বেনজেমা।
দ্রুত গোল হজম করার পর পিএসজি আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। ফলে তাদের বাদ পড়তে হয় শেষ ১৬ থেকে।
এ নিয়ে লিওনেল মেসি টানা দ্বিতীয় বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬ থেকে বাদ পড়লেন এবং রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে এ নিয়ে টানা ৯ ম্যাচ গোলশূন্য থাকলেন ৭ বারের ব্যালন ডর জয়ী এ তারকা।
রাতের আরেক ম্যাচে পর্তুগালের স্পোর্টিং লিসবনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেও কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
প্রথম লেগ ৫-০ গোলে জিতেছিল ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।