বার্সেলোনা ছেড়ে এসেছেন বেশ কিছুদিন হলো। নতুন ক্লাবে যে খুব খারাপ খেলছেন তেমনটা নিন্দুকরা বলছেন না। কিন্তু নামটা যে লিওনেল মেসি! ৭ বারের বিশ্বসেরার খেতাব জয়ী এ তারকার কাছ থেকে প্রত্যাশা ভক্তদের আকাশছোঁয়া।
যে কারণে ধারাবাহিকতাহীন পিএসজির দায়দায়িত্ব সবই তার কাঁধে চাপানো হচ্ছে। মেসি নিজেও যে ফ্রান্সের রাজধানীতে খুব একটা ছন্দে আছেন তা বলা যাবে না।
পিএসজির জার্সিতে মেসির ছোট্ট ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বুধবার রাতে। এতে উৎরে গেলে মেসিকে নিয়ে আর কোনো কথা বলবেন না নিন্দুক ও সমালোচকরা, সেটা নিশ্চিত।
ইউয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬-র দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদের মুখোমুখি হচ্ছে প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। নিজ মাঠে প্রথম লেগ ১-০ গোলে জিতেছিল মেসির দল।
দ্বিতীয় লেগে মাদ্রিদের মাঠে তাই গোলশূন্য ড্র করলেই চলবে তাদের। তবে সেটি যে পিএসজির মূল লক্ষ্য নয়, সেটি পরিষ্কার তাদের ম্যানেজার মউরিসিও পচেত্তিনোর কথায়।
পচেত্তিনো ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘দুই দলের খেলার ধাঁচ একই রকম। আমরা একে অপরকে ভালোমতো চিনি। আমরা আক্রমণাত্মক খেলতে চাই ও সুযোগ তৈরি করতে চাই। এ ধরনের ম্যাচে কৌশলের ওপর নির্ভরশীল হতে হয়।’
মেসির কাছে রিয়াল পরিচিত প্রতিপক্ষ। স্প্যানিশ জায়ান্টদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ডও তার। তবে পিএসজিতে এখন আর মূল গোলস্কোরার নন মেসি।
সেই দায়িত্ব কিলিয়ান এমবাপের। এমবাপেকে নিয়ে কিছুটা অনিশ্চিত পিএসজি শিবির। চোটের কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। চোট থেকে ফেরার পর রিয়ালের বিপক্ষে একাদশে থাকছেন এমবাপে তা নিশ্চিত করেছেন পচেত্তিনো।
এরপরই সব আলো থাকবে মেসির ওপর। রিয়ালকে পেয়ে আবারও জ্বলে উঠবেন সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়- এমনটা প্রত্যাশা থাকবে ভক্তদের।
আর মেসি জাদুকরী কিছু করতে না পারলে তার প্রথম মৌসুমটা যে ফ্লপ সেটা স্বীকার করতে বাধ্য হবেন অনুসারীরা।